এডিএমকে-র সদর দফতরে শশিকলা। শনিবার চেন্নাইয়ে। ছবি: পিটিআই।
পোয়েজ গার্ডেন থেকে এডিএমকে-র সদর দফতর পর্যন্ত আজ শুধুই সাজো সাজো রব। গোটা এলাকাই মুড়ে ফেলা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার চাদরে। চারদিকে ছড়িয়ে দলীয় পতাকা, ব্যানার-ফেস্টুনে। কারণ, আজ দলের ভার নিলেন জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শশিকলা নটরাজন।
এ দিন আম্মার গাড়িতে চেপে গোলাপি পাড়ের সবুজ শাড়িতে শশিকলা যখন দলের সদর দফতরে পৌঁছলেন, ততক্ষণে দলের সমর্থকরা জয়ধ্বনি দিতে শুরু করেছেন, ‘চিন্নাম্মা ভাঝাগাই’। সেখানে পৌঁছে প্রথমে দলের প্রতিষ্ঠাতা এমজিআর-এর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তার পরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আম্মার ছবিতেও। কিন্তু দলের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে আর ধরে রাখতে পারলেন না নিজেকে। আবেগতাড়িত শশিকলা তামিলে বললেন, ‘‘আম্মা আমাদের মধ্যে আর নেই। কিন্তু আমাদের দল এখনও ১০০ বছর রাজত্ব করবে। এই দলই ছিল আম্মার প্রাণ। আর আম্মাই আমার জীবন।’’ তাঁকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করার জন্য দলের কর্মী-সমর্থকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। আর তামিলনাড়ুর মানুষ এবং দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার আশ্বাসও দিয়েছেন ‘চিন্নাম্মা’। জয়ললিতার মৃত্যুর পরে যেটুকু শশিকলা-বিরোধী সুর শোনা গিয়েছিল, এ দিন তার রেশটুকুও পাওয়া যায়নি।
দলের ইতিহাসে শশিকলাই প্রথম যিনি শুধুমাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক। কারণ এর আগে এমজিআর এবং জয়ললিতা একই সঙ্গে সরকার ও দল সামলেছেন। এ বার তৈরি হল ক্ষমতার দু’টি কেন্দ্র। এই প্রথম বার। মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভমের সঙ্গে মিলে জয়ার দেখানো পথেই হাঁটবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ‘চিন্নাম্মা’। আগামী দিনে শশিকলাই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলে মন্তব্য করে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy