নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামা কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল দিল্লিতে প্রবেশের অনুমতি পাবে কি না তা আইনশৃঙ্খলার বিষয়। তা নিয়ে প্রথম সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি পুলিশ-ই। সোমবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশের রাজধানীতে কৃষকদের ট্রাক্টর র্যালির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনাদের সমস্ত আইনি ক্ষমতা প্রয়োগ করার স্বাধীনতা রয়েছে।’’ আদালতের পর্যবেক্ষণ, দিল্লিতে প্রবেশের প্রশ্ন আইনশৃঙ্খলার বিষয় যা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি পুলিশ। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সলিসিটর জেনারেলকে বলেছি, কাকে দিল্লিতে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হবে, কাকে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হবে না এবং কত জনকে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হবে— এই সমস্ত বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি পুলিশ। আমরা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নই।’’
শুনানি চলাকালীন নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তাঁর মতে, "ওই নির্দেশ আমাদের হাত আরও শক্তিশালী করবে।" এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি পাল্টা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার কি চায়, তার আইনি ক্ষমতার কথা আদালতকে মনে করিয়ে দিতে হবে?’’ এর প্রেক্ষিতে পাল্টা অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘‘আমরা অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখোমুখি।’’ বোবদে জানিয়ে দেন, আদালতের হস্তক্ষেপ ‘ভুল বোঝাবুঝি’ তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা কমতেই বাড়ল সংক্রমণের হার, স্বস্তি অবশ্য সুস্থতার হারে
আরও পড়ুন: জমে গেল ডাল লেক, ঘন কুয়াশায় মোড়া দিল্লি
আদালতে দিল্লি পুলিশ আবেদন করেছিল, তারা নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মাধ্যমে জানতে পেরেছে ‘বিক্ষোভকারীদের ক্ষুদ্র একটি দল ’ সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্র্যাক্টর র্যালির পরিকল্পনা করেছে। তার জেরে আইনশৃ্খনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে দিল্লি পুলিশ। ওই র্যালি সারা দেশের কাছে ‘অস্বস্তি’র কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেও সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ।