Advertisement
E-Paper

নিউজ়ক্লিকের দুই কর্তাকে ইউএপিএ-তে গ্রেফতার কেন? সুপ্রিম কোর্ট জবাব চাইল দিল্লি পুলিশের

নিউজ়ক্লিক সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার কর্মিবর্গ বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে বিদেশি অনুদান নেওয়া এবং ভারত-বিরোধী লেখা প্রকাশ করার অভিযোগ রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৩০
প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অমিত চক্রবর্তী।

প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অমিত চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।

নিউজ়ক্লিক পোর্টালের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ এবং সংস্থার কর্মিবর্গ বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তীর গ্রেফতারির কারণ জানাতে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ধৃত দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (‘আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ বা ইউএপিএ)-এ কেন মামলা করা হল, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশের জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠিয়ে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে জবাব চেয়েছে। প্রসঙ্গত, নিয়ম ভেঙে বিদেশি অনুদান নেওয়া এবং চিনকে সমর্থন করে ভারত-বিরোধী কিছু লেখা প্রকাশ করার অভিযোগে ‘নিউজ়ক্লিক’ সংবাদ পোর্টালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩ অক্টোবর সকাল থেকে এই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত বহু সাংবাদিক এবং কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় দিল্লি পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় প্রবীর এবং অমিতকে।

এর পর নিয়ম ভেঙে ১১৫ কোটি টাকা বিদেশি অনুদান নেওয়ার অভিযোগে নিউজ়ক্লিকের বিরুদ্ধে পৃথক তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। গত ৬ অক্টোবর প্রবীর এবং অমিত তাঁদের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পাশাপাশি, দিল্লি পুলিশ অসত্য অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে বলে অভিযোগ তুলে তা খারিজ করার জন্য হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

গত ১৬ অক্টোবর প্রবীরের আইনজীবী কপিল সিব্বল জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানালে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ তা মঞ্জুর করে। দ্রুত শুনানির জন্য মামলাটি পাঠানো হয়ে বিচারপতি গাভাই এবং বিচারপতি মিশ্রের বেঞ্চে। সিব্বলের পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার অমিতের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী দেবদত্ত কামত। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত। এর পর গত ১০ অক্টোবর ১০ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে প্রবীর এবং অমিতকে।

ভারতের মানচিত্র থেকে কাশ্মীরকে বাদ দেওয়া এবং অরুণাচল প্রদেশকে বিতর্কিত অঞ্চল হিসেবে দেখানো নিয়ে একটি ইমেল চালাচালিতে প্রবীর যুক্ত ছিলেন বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। আরও অভিযোগ, বিদেশ থেকে আসা টাকার জোরে কৃষক বিক্ষোভে ইন্ধন দিয়ে ভারতে অত্যাবশ্যক পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করার চক্রান্তে জড়িত ছিলেন ধৃতেরা। এমনকি, একটি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০১৯-এর নির্বাচনে কারচুপির ষড়যন্ত্রেও প্রবীরের জড়িত থাকার কথা জানা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।

UAPA UAPA CAse NewsClick Delhi Police Supreme Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy