Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
kerala

Supreme Court of India: তিরস্কার দুই রাজ্যকে

শীর্ষ আদালতে আজ এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২১ ০৯:০৩
Share: Save:

মুল্লাপেরিয়ার বাঁধের জলস্তর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তামিলনাড়ু ও কেরল সরকারকে তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট। কেরলে প্রবল বৃষ্টি ও বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় প্রায় কুড়ি জনের মৃত্যু হয়েছে। তার পরেও বাঁধের জল নিয়ে যে ভাবে লড়াই চলছে দুই রাজ্যের, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা।

শীর্ষ আদালতে আজ এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চে। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘বিষয়টি মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। ফলে রাজ্য সরকারগুলি ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুক। বাঁধের জলস্তরের দিকটিতে নজর দিক। এ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। কারণ, ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’

মুল্লাপেরিয়ার বাঁধটি কেরলে অবস্থিত হলেও তামিলনাড়ু থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। কেরলের অভিযোগ, অতীতে বহুবার বাঁধ থেকে আচমকা জল ছেড়ে মানুষকে বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকেই বিবাদ রয়েছে দুই রাজ্যের। জল ছাড়ার বিষয়ে গত কাল কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন চিঠি লিখেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকে। তাতে তিনি বলেছেন, এ বার যে পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে বাঁধের জলস্তর ১৪২ ফুট পর্যন্ত চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাঁধ থেকে তামিলনাড়ুর খালগুলি দিয়ে ধীরে ধীরে জল ছাড়া হোক।

কেরল সরকার আজ শীর্ষ আদালতে বলেছে, ব্যাপক বৃষ্টির ফলে বাঁধের জলস্তর বেড়েছে। ২০১৮ সালের বন্যার সময়ে সুপ্রিম কোর্ট বাঁধের জলস্তর ১৩৯ ফুট পর্যন্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে এই মাপ বাড়ানো দরকার। না হলে, মানুষ অনেক সমস্যার মধ্যে পড়বে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চেয়েছেন বিচারপতিরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kerala Tamil Nadu Supreme Court of India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE