Advertisement
E-Paper

দলিত রায় নিয়ে আর্জির পথে কেন্দ্র

ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের দলিত আইন সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৩

ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের দলিত আইন সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।

কী ভাবে শীর্ষ আদালতে ওই আর্জি জানানো হবে তা খতিয়ে দেখতে আইন মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় মন্ত্রক। কিন্তু সরকারের একটি অংশ এখনও মনে করে যে, এ নিয়ে শীর্ষ আদালত যা রায় দিয়েছে তা সঠিক। যুক্তি হিসেবে সংসদে তিন বছরের (২০১৪-১৬) তথ্য তুলে ধরে মোদী সরকার দেখিয়েছে, কী ভাবে ওই আইনের অপপ্রয়োগ হওয়ায় সাধারণ মানুষকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। সরকারের এক শীর্ষ কর্তার মতে, দল ও বিরোধীদের চাপে সুপ্রিম কোর্টের ওই রায় পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইনের অপব্যবহার করে এক শ্রেণির মানুষ যে ফায়দা নিচ্ছে তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই।

তফসিলি জনজাতির নিগ্রহ রুখতে ১৯৮৯ সালে আইন তৈরি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী। ওই আইনের অপপ্রয়োগের অভিযোগ জানিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই সরব ছিলেন উচ্চবর্ণের মানুষ। গত কাল রাজ্যসভায় ঠাকুর নেতা অমর সিংহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জানতে চান, সাম্প্রতিক সময়ে ওই আইনের ধারায় অভিযোগ দায়ের হওয়া কতগুলি মামলা শেষ পর্যন্ত ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে? যার জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহির সংসদকে জানান, গোটা দেশে তফসিলি জাতির ক্ষেত্রে গড়ে ১৫ শতাংশ অভিযোগ ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে। অন্য দিকে তফসিলি জনজাতির ক্ষেত্রে প্রায় ১৭ শতাংশ অভিযোগ সঠিক নয়।

বেশ কিছু দিন ধরেই পণপ্রথা বিরোধী আইনের মতো এতেও কিছু রক্ষাকবচের দাবিতে সরব ছিলেন বিজেপির উচ্চবর্ণের নেতাদের একাংশ। যে যুক্তি মেনে নেয় সরকারও। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠলে তাই সরকার রক্ষাকবচের পক্ষে সওয়াল করে। সুপ্রিম কোর্টও রায়ে জানায়, মামলা দায়েরের আগে প্রাথমিক তদন্ত করতে হবে। আগাম জামিনের প্রশ্নেও সায় দেয় আদালত। ওই রায় আসতেই তা দলিত বিরোধী বলে বিরোধী শিবির প্রচার শুরু করায় অস্বস্তিতে পড়ে যান নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা।

ওই সিদ্ধান্তে দলিত সমাজের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষোভ জানিয়েছেন শাসক ও শরিক দলের দলিত নেতারাও। পুনর্বিবেচনার দাবিতে গত কালই প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন শরিক দলের নেতা রামবিলাস পাসোয়ান ও রামদাস অটওয়ালেরা। আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই আজ সামাজিক ন্যায় মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চিঠি লেখা হয় আইন মন্ত্রককে। দুই মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কী ভাবে পুনর্বিবেচনার আর্জি করা হবে তা দুই মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা বসে ঠিক করবেন।

SC ST Act Central Government Review সুপ্রিম কোর্ট
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy