লালু প্রসাদের বাড়ির বাইরে সমর্থকদের ভিড়। ছবি: পিটিআই।
পটনার জগদেও পথ। শহরের প্রাণকেন্দ্রের সেই রাস্তায় ঢিলছোড়া দূরত্বে পরপর তিনটি রাজনৈতিক দলের সদর দফতর। বিজেপি-আরজেডি-জেডিইউ।
বুধবার রাজধানী পটনায় রাজনৈতিক ঘটনা পরম্পরার জেরে সময়ে সময়ে রং বদলাল সেই সড়কেরও।
তখন প্রায় সন্ধে। খবর ছড়াল, রাজভবনে যাচ্ছেন নীতীশ কুমার। উত্তাপ ছড়াল পটনায়। রাস্তায় নামেন আরজেডি সমর্থকরা। ভিড় জমে জগদেও পথে দলের সদর দফতরে। আরজেডি সমর্থকরা ভেবেছিলেন, তেজস্বী যাদবকে সরানোর সুপারিশ নিয়েই রাজ্যপালের কাছে গিয়েছেন নীতীশ। ক্ষুব্ধ সমর্থকদের ভিড়ে স্লোগান ওঠে— ‘‘লালুপ্রসাদ জিন্দাবাদ, তেজস্বী জিন্দাবাদ।’’
রাজভবন থেকে ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে নীতীশ মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করতেই কার্যত হতবাক হয়ে যান আরজেডি সমর্থকরা। ছবিটা পাল্টে যায় এর পরেই। ভিড় জমতে থাকে জেডিইউ দফতরে। নীতীশের প্রশস্তিতে আওয়াজ ওঠে সেখানে। রাত বাড়তেই কার্যত জনশূন্য হয়ে যায় আরজেডি দফতর।
সন্ধের পর থেকে নীতীশ-লালুর ‘বাক্যুদ্ধে’র মধ্যেই চাপা উল্লাস ছড়ায় জগদেও পথের বিজেপি দফতরে। একের পর এক গাড়িতে দলীয় নেতারা পৌঁছতে থাকেন। আতসবাজির আওয়াজ না মিললেও, দফতরের ভিতরের খুশির পরিবেশ আন্দাজ করা যাচ্ছিল সহজেই।
জেডিইউয়ের বিধানমণ্ডলের বৈঠক, তার পরই লালুপ্রসাদের সাংবাদিক সম্মেলন— এ দিন দুপুর থেকে শহরে একের পর এক রাজনৈতিক পালাবদলে সতর্ক ছিল পটনা পুলিশ। রাজপথে বাড়ানো হয় নজরদারি। মোড়ে মোড়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ চৌকিগুলি। নীতীশের পদত্যাগের পর শহরে অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি এড়াতে রাস্তায় নামানো হয় বিহার মিলিটারি পুলিশের জওয়ানদের। গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। দল বেঁধে যাওয়া লোকেদের আটকে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। রাজ্য পুলিশের তরফে সতর্ক করা হয় সমস্ত জেলার পুলিশ আধিকারিকদের। তবে রাত পর্যন্ত ঝামেলার খবর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy