অগ্নিকাণ্ডের পর লুথরা ভাইদের (সৌরভ এবং গৌরবর লুথরা) অন্য একটি নৈশক্লাব ভাঙার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত। রাজ্য প্রশাসনের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। মঙ্গলবার সেই নৈশক্লাব বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল।
সূত্রের খবর, গোয়ার ভ্যাগাটরে ‘রোমিও লেন’ নামে ওই নৈশক্লাবটি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, দ্বিতীয় যে নৈশক্লাবটি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেটি বেআইনি ভাবে সরকারি জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই ক্লাবটিকে সিল করে দিয়েছে পুলিশ। গোয়ায় বেশ জনপ্রিয় লুথরা ভাইদের নৈশক্লাব। তার মধ্যে একটি ছিল আরপোরার ‘বির্চ’ নৈশক্লাব। অন্যটি ভ্যাগাটরের ‘রোমিও লেন’। বির্চে দুর্ঘটনার পরই রোমিও লেনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল প্রশাসন।
সূত্রের খবর, ‘মামা’স বয়’ এবং ‘ড্রামেবাজ়’ নামে দু’টি আউটলেটে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পর রোমিও লেন নামে নৈশক্লাব নির্মাণ করেন লুথরা ভাইয়েরা। তার কয়েক মাস পরে বির্চ নৈশক্লাব নির্মাণ করেন তাঁরা। এটি ‘আইল্যান্ড ক্লাব’ নামেও পরিচিত ছিল উত্তর গোয়ায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরই তাইল্যান্ডের ফুকেতে পালিয়ে যান। দুই ভাইকে দেশে ফেরানোর জন্য ইন্টারপোলের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করার জন্য ইন্টারপোলকে অনুরোধ করেছে সিবিআই।
পুলিশ জানিয়েছে, লুথরা ভাইদের পাশাপাশি তৃতীয় আর এক জনের খোঁজ চলছে। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অজয় গুপ্ত নামে ওই ব্যক্তির তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যে নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেই ক্লাবের অন্যতম অংশীদার অজয়। সূত্রের খবর, অজয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার জারি করা হয়েছে যাতে তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন। গোয়া এবং দিল্লি পুলিশ অজয়ের গুরুগ্রামের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁর হদিস মেলেনি বলে সূত্রের খবর। ওই সূত্রের দাবি, সোমবার অজয়ের শেষ অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে এনসিআরে। আর এখান থেকেই তদন্তকারীদের ধারণা, এখনও দেশ ছাড়তে পারেননি তিনি। ফলে অজয়কে ধরতে তল্লাশি আরও জোরদার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।