দেশের সাতটি রাজ্য যে পরিমাণ কর কেন্দ্রকে দেয়, তার কম সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে ফেরত দেয় দিল্লির সরকার। রাজ্যসভায় কেন্দ্রের পেশ করা পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এমনটাই জানিয়েছে ‘দ্য হিন্দু’। আবার এমনও বেশ কয়েকটি রাজ্য আছে, যারা তুলনায় কম কর দিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে অধিক পরিমাণ প্রাপ্য আদায় করছে।
সম্প্রতি নির্মলা সীতারমণের অর্থ মন্ত্রক রাজ্যসভায় যে পরিসংখ্যান পেশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচটি অর্থবর্ষে (২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত) কেন্দ্র বিভিন্ন রাজ্য থেকে মোট যত পরিমাণ কর আদায় করেছে, তার ৪.৬ শতাংশ গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে প্রাপ্য হিসাবে মোট সংগৃহীত করের ১৫.৮ শতাংশ উত্তরপ্রদেশকে ফিরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। একই ভাবে তুলনায় কম কর দিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে তুলনায় বেশি অর্থ পেয়েছে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানও।
বেশি কর দিয়ে কম অর্থ পাওয়ার নিরিখে সবার প্রথমে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত পাঁচটি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের তরফে সংগৃহীত করের পরিমাণে এই রাজ্যের অবদান ৩৬.১ শতাংশ। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় কর কাঠামো অনুযায়ী কেন্দ্র তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে ওই করের ৬.৬৫ শতাংশ টাকা। বেশি কর দিয়ে কম অর্থ পাওয়ার তালিকায় রয়েছে হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতও।
আরও পড়ুন:
রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজা মুন্ডে জানিয়েছেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রস্তাব মেনেই রাজ্যগুলিকে করের একাংশ ফিরিয়ে দেয় কেন্দ্র। একটি রাজ্যের জনসংখ্যা, আয়তন, জনবিন্যাসের প্রকৃতি, কেন্দ্রীয় কোষাগারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অবদান-সহ মোট ছ’টি মানদণ্ড খতিয়ে দেখে কোনও রাজ্যের প্রাপ্য নির্ধারণ করে কেন্দ্র। তবে পঙ্কজা জানিয়েছেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় কোষাগারে রাজ্যের অবদানের বিষয়টি সংযুক্ত ছিল না।
কেন্দ্র কর হিসাবে একটি রাজ্য থেকে কত টাকা পাবে, আর কত টাকা ফেরত দেবে, আগামী পাঁচটি অর্থবর্ষে (২০২৬ থেকে ২০৩১)-এর জন্য তা নির্ধারণ করেছে ষোড়শ অর্থ কমিশন। গত মাসেই কমিশন তার প্রস্তাব কেন্দ্রকে জমা দিয়েছে। ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল রাজ্যগুলির নতুন প্রাপ্য হার কার্যকর হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির কর প্রদানের অঙ্ক মাথায় রেখেই অর্থ ফেরত দেওয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারে কেন্দ্র।