প্রতীকী ছবি।
উন্নাও, কাঠুয়ার ঘটনা যখন গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে, ঠিক সেই সময়েই আরও তিনটি ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে উঠে এল।
আর এই তিনটি অভিযোগই উঠেছে গত এক সপ্তাহের মধ্যে। দু’টি সুরাতে এবং অন্যটি তাপিতে।
গত ৬ এপ্রিল সুরাতের পান্ডেসারা থানার জিয়াভ-বুধিয়ায় রাস্তার ধারে ঝোপের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নাবালিকার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: কুলদীপের ফাঁসি চাই, দাবি অভিযোগকারী কিশোরীর
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নাবালিকার উপর শারীরিক অত্যাচারের সঙ্গে ধর্ষণও করা হয় বেশ কয়েক দিন ধরে। লাঠি ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তার যৌনাঙ্গে। প্রায় ৮৬টি ক্ষতের চিহ্ন মিলেছে তার শরীরে।
পুলিশ যদিও অভিযুক্তের হদিশ পায়নি। শনাক্ত করা যায়নি নাবালিকাকেও। অভিযুক্তকে ধরতে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার মূল্যও ঘোষণা করেছে পুলিশ।
আরও একটি ধর্ষণের ঘটনায় সুরাতের সায়ন গ্রাম থেকে এক কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সমবয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবারের ঘটনা। ওই দিন কাজ সেরে বাড়িতে ফেরার সময় রাস্তা থেকে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় ওই কিশোর। অভিযোগ, একটি নির্জন খামারে নিয়ে গিয়ে সে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার যৌনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নাও ধর্ষণ মামলায় ধৃত সেই বিধায়ক
এই দু’টি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। এ বারও গুজরাত। রাজ্যের তাপি জেলার উচ্ছ্বল তালুকের ঘটনা।
এক আদিবাসী তরুণীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে দু’সপ্তাহ ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তাঁরই গ্রামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, ওই তরুণীকে জোর করে অটোতে তুলে সুরাতে একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন ওই ব্যক্তি। দু’সপ্তাহ ধরে লাগাতার ধর্ষণের পর গ্রামে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যান। অভিযুক্তের খোঁজ পায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গত ১০ জানুয়ারি মাঠে ঘোড়া চড়াতে গিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের ভবঘুরে বকারওয়াল সম্প্রদায়ের একরত্তি মেয়ে আসিফা। ১৭ জানুয়ারি জঙ্গল থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। আসিফাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
তদন্তে জানা যায়, স্থানীয় একটি মন্দিরে বেশ কয়েক দিন ধরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল আসিফাকে। ঘুমের ওষুধ দিয়ে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছিল। চার্জশিটে লেখা হয়েছে, ‘দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ করা হয় আসিফাকে। অত্যাচার করা হয়। আর শেষে খুন করা হয়।’ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল আসিফাকে। মাথায় পাথর দিয়ে দু’বার আঘাতের চিহ্নও মিলেছিল ময়নাতদন্তে। তদন্তে আরও জানা যায়, সুরেন্দ্র বর্মা, আনন্দ দত্ত, তিলক রাজ ও খাজুরিয়া নামে চার পুলিশ অফিসারকে নিয়ে গোটা ষড়যন্ত্রটি করেছিল সঞ্জি রাম নামে এক ব্যক্তি।
আর এ সব নিয়েই প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy