মরাঠি ভাষা রক্ষা এবং হিন্দির ‘আগ্রাসন’ রোখার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কাছাকাছি এসেছেন তাঁরা দু’জন। গত শনিবার মুম্বইয়ের ওরলি অডিটোরিয়ামে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা (ইউবিটি)-র প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং তাঁর তুতো ভাই তথা মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান রাজ ঠাকরে একসঙ্গে রাজনীতির পথে হাঁটার বার্তা দিয়েছেন। এ বার উদ্ধবসেনা জানিয়ে দিল, মহারাষ্ট্রের পুরসভা এবং ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে জোট রাজনীতির সমীকরণ বদলে যেতে চলেছে।
উদ্ধব-ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় রাউত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে সর্বভারতীয় স্তরের বিজেপিবিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ বা রাজ্য স্তরে আমাদের জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র (কংগ্রেস এবং শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি যার অন্যতম সদস্য) কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।’’ তবে কি রাজের এমএনএস-কে পুর-পঞ্চায়েত ভোটে সঙ্গী করতে চায় উদ্ধবসেনা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জয়ের মন্তব্য, ‘‘দু’দলের নিচুতলা থেকেই জোটের জন্য চাপ বাড়ছে। মরাঠি আমজনতাও চাইছে আমরা এক সঙ্গে লড়াই করি। তবে ভোটের এখনও দেরি রয়েছে। আমরা তড়িঘড়ি কোনও পদক্ষেপ করতে চাই না।’’
আরও পড়ুন:
চলতি বছরেই দেশের বৃহত্তম এবং ধনীতম পুরসভা ‘বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন’-এ (বিএমসি) ভোট হওয়ার কথা। সেই সঙ্গে নাগপুর, ঠাণে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত স্তরের ভোটও হতে পারে। এই আবহে উদ্ধবসেনার মুখপাত্রের মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ শোচনীয় ভাবে বিজেপি, শিবসেনা, এনসিপির জোট ‘মহাজুটি’র কাছে পরাজিত হয়েছিল। তার পরেও সঞ্জয় একক শক্তিতে বিএমসির ভোটে লড়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টানা ২৫ বছর এই পুরনিগমে ক্ষমতায় ছিল অবিভক্ত শিবসেনা। ২০২২ সালের মার্চ মাসে এই পুরনিগমের জনপ্রতিনিধিদের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়। তার পর দু’বছর নির্বাচন হয়নি। ফলে বর্তমানে কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই বৃহন্মুম্বই পুরনিগমে।