Advertisement
E-Paper

‘অপরাধের উদ্দেশ্য ছিল না’, এবিভিপির দুই সদস্যকে ক্ষমার আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি শিবরাজের

গোয়ালিয়র স্টেশনের বাইরে রাখা ছিল বিচারকের গাড়ি। সেই গাড়ির চাবি চালকের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাতে এক প্রবীণকে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন হিমাংশু এবং সুকৃৎ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৮
image of shivraj singh

শিবরাজ সিংহ চৌহান। — ফাইল চিত্র।

এ বার এবিভিপি (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ)-র দুই সদস্যকে ক্ষমা করার আর্জি জানিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি রবি মল্লিমথকে চিঠি দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। বিচারকের গাড়ি ছিনিয়ে এক অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন দু’জন।

শুক্রবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি মল্লিমথকে চিঠি দিয়ে চৌহান লেখেন, ‘‘পবিত্র একটি কারণে, এক জনের প্রাণ বাঁচানোর জন্য মানবিক ক্ষেত্রে এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তাই এটা ভিন্ন রকমের অপরাধ যা ক্ষমার যোগ্য। হিমাংশু শ্রোত্রীয় এবং সুকৃৎ শর্মার অপরাধের কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ক্ষমা করা উচিত।’’

গোয়ালিয়র স্টেশনের বাইরে রাখা ছিল বিচারকের গাড়ি। সেই গাড়ির চাবি চালকের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাতে এক প্রবীণকে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন হিমাংশু এবং সুকৃৎ। রঞ্জিত সিংহ নামে ওই প্রবীণ ট্রেনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মধ্যপ্রদেশের ডাকাতি-বিরোধী আইনে হিমাংশু এবং সুকৃৎকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর। হিমাংশু গোয়ালিয়রের এবিভিপি-র সম্পাদক। ১৩ ডিসেম্বর তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালত। বিচারক সঞ্জয় গয়াল জানান, কারও থেকে সাহায্য বিনয়ের সঙ্গে চাওয়া উচিত। জোরজুলুম করে সাহায্য করা যায় না। তাঁর পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তেরা যখন অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন স্টেশনের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছে গিয়েছিল। অসুস্থকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সই সব থেকে ভাল যান।

এবিভিপি যদিও এই রায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ করবে তারা। দলের মধ্যপ্রদেশের সম্পাদক সন্দীপ বৈষ্ণব জানিয়েছেন, সোমবার দিল্লি থেকে গোয়ালিয়রগামী ট্রেনে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক জন। সেই ট্রেনেই ছিলেন এবিভিপির সঞ্জয় এবং বিনয়। ট্রেন স্টেশনে থামতেই অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন দু’জনে। সন্দীপের দাবি, ২৫ মিনিটেও আসেনি অ্যাম্বুল্যান্স। বাধ্য হয়ে তাই বিচারকের গাড়িতে চাপিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। সন্দীপের আরও দাবি, সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারলে বেঁচে যেতেন ওই ব্যক্তি। এবিভিপির তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে আবেদন করবেন।

Shivraj Singh Chouhan MP High Court ABVP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy