Advertisement
E-Paper

কালো টাকাতেই অনুষ্ঠানে রাজি হয়ে গেলেন পাক শিল্পীদের ম্যানেজাররা!

উরিতে জঙ্গি হামলার জেরে পাক শিল্পীদের বলিউডে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়েছে কিছু দিন আগে। শিল্পীদের ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার কালো টাকার কারবারে নাম জড়াল কয়েক জন পাকিস্তানি শিল্পীর। তালিকায় থাকা রথী মহারথীদের নাম দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ১০:৪৩

উরিতে জঙ্গি হামলার জেরে পাক শিল্পীদের বলিউডে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়েছে কিছু দিন আগে। শিল্পীদের ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার কালো টাকার কারবারে নাম জড়াল কয়েক জন পাকিস্তানি শিল্পীর। তালিকায় থাকা রথী মহারথীদের নাম দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই। সঙ্গীতশিল্পী শফকত আমানত আলি, রাহত ফতে আলি খান থেকে এবং অভিনেতা ফওয়াদ খান, কে নেই সেই তালিকায়!

সর্বভারতীয় একটি নিউজ ওয়েবসাইটের স্টিং অপারেশনের জেরে এই তথ্য সামনে এসেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক ব্যবসায়ীর মেয়ের বিয়েতে গান গাইবার অনুরোধ নিয়ে অপারেশন নেমে দলটি নয়াদিল্লিতে গায়ক শফকত আমানত আলির ম্যানেজার মনু কোহালির কাছে যান। মনু বলেন, এর জন্য ২৫ লক্ষ টাকা নেবেন শিল্পী। এর জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তিপত্র তৈরি করতে বলেন তিনি। কিন্তু এর পরই গায়কের ম্যানেজারকে ‘টোপ’ দেন স্টিং অপারেশন দলের এক সদস্য। ম্যানেজার মনু কোহালিকে তিনি অনুরোধ করেন, ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বৈধ চুক্তিপত্র অনুযায়ী। বাকি টাকার লেনদেন হবে কাগজপত্র ছাড়াই। এই প্রস্তাব শুনে প্রথমে রাজি না হলেও পরে বেশ কিছু ক্ষণ দরাদরির পর রাজি হয়ে যান শফকত আমানত আলির ম্যানেজার।

একই ভাবে গায়ক রাহাত ফতে আলি খানের ম্যানেজারের সঙ্গেও দেখা করে স্টিং অপারেশনের ওই বিশেষ দল। রিপোর্টের দাবি, অনুষ্ঠানের জন্য ৬৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন রাহাতের ম্যানেজার। যাঁর মধ্যে ২৩ লক্ষ টাকা বৈধ চুক্তিপত্র অনুযায়ী, বাকিটা কাগজপত্র ছাড়াই নিতে রাজি হয়ে যান তিনি।

আরও পড়ুন...
৫০০ কোটির বিয়ে নিয়ে খোঁজ শুরু

ওই রিপোর্টের দাবি, একই কৌশল কাজে লেগেছে অভিনেতা ফাওয়াদ খানের ক্ষেত্রেও। বিয়েবাড়িতে উপস্থিত থাকার জন্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় অভিনেতার ম্যানেজারের তরফে। এর মধ্যে ৩ লক্ষ টাকা বৈধ ভাবে আর বাকি টাকা কাগজপত্র ছাড়াই নিতে রাজি হয়ে যান ফাওয়াদের ম্যানেজারও।

এই স্টিং অপারেশনের খবর সামনে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে বি-টাউন-সহ দেশের বিভিন্ন মহলে। সম্প্রতি দেশে কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে টাকা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই খবর সামনে আসায় তারকাদের দিয়ে অনুষ্ঠানের আড়ালে ‘কালো টাকা’ সাদা করার একটা ছবি স্পষ্ট হল। শুধু তাই নয়, অবৈধ ভাবে টাকার লেনদেনের ঘটনায় নাম জড়িয়ে গেল বিখ্যাত এই সব পাক-শিল্পীদের।

তবে অনেকেই এই খবরকে সত্যি বলে মানতে রাজি নন। অনেকে আবার এই ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। তাঁদের যুক্তি, এই স্টিং অপারেশনের নিশানায় শুধু পাকিস্তানি শিল্পীরাই কেন! এ দেশে আর কেউ কি এ ভাবে টাকার অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত নয়!

সব মিলিয়ে স্টিং অপারেশনের ঘটনা নতুন এক বিতর্ককে উস্কে দিল।

Black Money Sting Operation Fawad Khan Rahat Fateh Ali Khan Shafqat Amanat Ali
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy