মঙ্গলবার আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যা মামলায় বুধবার অভিযুক্ত প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল দিল্লি পুলিশ। সূত্রের খবর, আফতাবের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শীঘ্রই আবার ডাকা হতে পারে।
বর্তমানে আফতাবের পরিবার দিল্লিতে আছেন। বুধবার পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে তার ভিত্তিতে তাঁদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
উল্লেখযোগ্য, ২০২০ সালে মুম্বইতে একত্রবাসে থাকার সময় প্রেমিক আফতাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শ্রদ্ধা। পালঘরের তুলিনি পুলিশকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন, আফতাব তাঁকে খুন করতে চান। এই বিষয়ে আফতাবের পরিবার ওয়াকিবহাল ছিলেন বলেও শ্রদ্ধা অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
তুলিনি পুলিশ নিশ্চিত করেছে, শ্রদ্ধা ২০২০-র ২৩ নভেম্বর থানায় আফতাবের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার তাঁকে দিল্লির সাকেত আদালতে পেশ করা হয়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দিল্লির ওই আদালতে আফতাব স্বীকার করেন যে তিনি রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে খুন করেছেন। যদিও আফতাবের আইনজীবী অবিনাশ কুমারের দাবি, এ রকম কোনও কথা আফতাব স্বীকার করেননি।
মঙ্গলবার আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষাও শুরু হয়েছে। রোহিণীর ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির সহকারী পরিচালক সঞ্জীব গুপ্ত জানান, আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট হাতে আসবে।
প্রসঙ্গত, ছ’মাস আগে ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলীতে একত্রবাসে থাকা প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুনের অভিযোগ রয়েছে প্রেমিক আফতাবের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এর পর তিনি শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করেন। সেই মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে কেনা হয়েছিল নতুন ফ্রিজও। পরে ১৮ দিন ধরে ছতরপুর ছিটমহলের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিয়ে আসার অভিযোগও রয়েছে আফতাবের বিরুদ্ধে।
শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ ১২ নভেম্বর শনিবার আফতাবকে গ্রেফতার করেছে। সেই নিয়েই চলছে তদন্ত। তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। একটি ধারালো করাতও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে এই করাত দিয়েই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন অভিযুক্ত আফতাব। খুঁজে পাওয়া গিয়েছে একটি দেহের খুলির কিছু অংশ-সহ একাধিক হাড়ের টুকরো। সেই হাড়ের টুকরোগুলি শ্রদ্ধারই কি না জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy