পূর্ব দিল্লির ত্রিলোকপুরী এলাকায় রামলীলা ময়দান থেকে গত জুনে একটি কাটা মুন্ডু এবং একটি কাটা হাত উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেগুলি আবর্জনা স্তূপের মাঝে খোলা অবস্থায় পড়েছিল। তার ঠিক কয়েক দিন আগেই খুন হয়েছিলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকর। উদ্ধার হওয়া সেই কাটা মুন্ডু এবং দেহাংশ কি তা হলে শ্রদ্ধার? ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধার কাটা মাথা উদ্ধার হয়নি। ফলে জুনে রামলীলা ময়দানে উদ্ধার হওয়া সেই মাথা শ্রদ্ধার ছিল কি না তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জুনে যে পচাগলা দেহাংশ মিলেছিল, সেগুলি এক জনেরই বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, যে কাটা মুন্ডু উদ্ধার হয়েছিল সেটি ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই এই মামলাটি দক্ষিণ দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জুনে ওই কাটা মুন্ডু এবং কাটা হাত উদ্ধার হওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। এসেছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও। পুলিশের তরফে তখন জানানো হয়েছিল, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুন্ডু কেউ ফেলে গিয়েছিল কি না, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে। তার ঠিক আগের মাসেই গত ১৮ মে খুন হয়েছিলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকর। খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে।
পুলিশের দাবি, জেরায় আফতাব স্বীকার করেছেন, তিনি শ্রদ্ধাকে খুন করে ৩৫ টুকরো করেছেন। তাঁর কাটা মুন্ডু ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন। বাকি দেহাংশ মেহরৌলীর জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসেছিলেন। শ্রদ্ধাকে খুনের অভিযোগে গত ১২ নভেম্বর গ্রেফতার হয়েছেন আফতাব। শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করলেও, তাঁর কাটা মাথা কোথায়, কোথায়ই বা শ্রদ্ধার খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র, তার কোনও খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ। মেহরৌলীর জঙ্গলে চার দিন তল্লাশি চালিয়ে যে হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি শ্রদ্ধারই কি না, তা-ও স্পষ্ট হয়নি। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, হাড়গুলি পুরনো হওয়ায়, ডিএনএ খুঁজে পাওয়াই একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শ্রদ্ধার কাটা মুন্ডু এখনও পর্যন্ত না মেলায়, জুনে উদ্ধার হওয়া সেই কাটা মুন্ডুর সঙ্গে শ্রদ্ধা খুনের কোনও যোগসূত্র আছে কি না এখন সেটাই ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy