Advertisement
০২ মে ২০২৪
Shraddha Walker murder case

ফ্ল্যাটে নতুন বান্ধবী এলেই ফ্রিজ থেকে উধাও হত শ্রদ্ধার কাটা মাথা! সময় মতো ফিরেও আসত

গত ১৮ মে বান্ধবী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে দিল্লির ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তার কিছু দিন পর থেকেই নতুন সঙ্গী খুঁজে নেন তিনি।

ফ্রিজার থেকে মাঝেমধ্যেই সরানো হত শ্রদ্ধার দেহ।

ফ্রিজার থেকে মাঝেমধ্যেই সরানো হত শ্রদ্ধার দেহ। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১১
Share: Save:

আড়াই বছরের লিভ-ইন সঙ্গীকে কচুকাটা করে খুন করার দিন পনেরোর মধ্যেই নতুন বান্ধবীকে ফ্ল্যাটে নিয়ে এসেছিলেন আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। তখনও সেই ফ্ল্যাটেই ছিল শ্রদ্ধার কাটা মাথা এবং টুকরো করে কাটা শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। তবে ফ্রিজারে ছিল না।

পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, নতুন সঙ্গীকে যখনই দিল্লির ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতেন আফতাব, তখনই ফ্রিজার থেকে উধাও হয়ে যেত শ্রদ্ধার টুকরো করে কেটে রাখা শরীর। ৩০০ লিটারের ফ্রিজটি শুধু শ্রদ্ধার দেহ সংরক্ষণের জন্যই কিনেছিলেন আফতাব। কিন্তু নতুন বান্ধবীকে নিয়ে ফ্ল্যাটে এলে সেই ফ্রিজারে ফাঁকা হয়ে যেত বেমালুম। কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্ল্যাটেরই অন্যত্র জায়গা হত টুকরো করে কাটা শ্রদ্ধার দেহের।

পুলিশ জানিয়েছে, বান্ধবী ফ্ল্যাটে আসার আগেই ফ্রিজার থেকে শ্রদ্ধার টুকরো করে কাটা দেহ একটি কাবার্ডে সরিয়ে ফেলতেন আফতাব। বান্ধবী চলে যাওয়ার পর তা আবার এনে রাখতেন ফ্রিজারে। এ ভাবেই দিনের পর দিন সব দিক সামলেছেন আফতাব। তারা জানিয়েছে, ফ্রিজারের বাইরে থেকে মাংসের পচা গন্ধ যাতে ঘরে না ছড়ায়, তার জন্য বান্ধবী ফ্ল্যাটে এলে বিভিন্ন ধরনের ধূপ এবং সুগন্ধিও ব্যবহার করতেন আফতাব।

একটি ডেটিং সাইটের মাধ্যমে শ্রদ্ধা ও আফতাবের আলাপ হয়েছিল। পরে সেই আলাপ প্রেমে গড়ায়। প্রেমিককে নিয়ে এক সঙ্গে থাকবেন বলে ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা। ভিন্‌‌ ধর্মের ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক তৈরি হোক, প্রথম থেকেই চাননি শ্রদ্ধার বাবা-মা। কিন্তু, প্রেমের টানে বাবা-মায়ের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা। যাঁর জন্য ঘর ছেড়েছিলেন শ্রদ্ধা, সেই প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হল তাঁকে।

গত ১০ নভেম্বর মেয়ের হদিস না পেয়ে মুম্বই পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছিলেন শ্রদ্ধার বাবা। প্রেমিকের সঙ্গে শ্রদ্ধা থাকতেন দিল্লিতে। তাই ওই অভিযোগ দিল্লি পুলিশকে জানানো হয়। এর পরই আফতাবকে পাকড়াও করা হয়। জেরা চলাকালীন খুনের কথা স্বীকার করেন আফতাব। বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শ্রদ্ধা। এ নিয়ে অশান্তির জেরেই তাঁকে খুন করেছেন বলে দাবি করেছেন আফতাব। তদন্তে নেমে পুলিশ এ-ও জানতে পারে যে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ কেটে ৩৫টি টুকরো করা হয়। তার পর সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। সংবাদ সংস্থাকে মহারাষ্ট্রের পালঘর নিবাসী শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মঙ্গলবার খুনের নেপথ্যে ‘লভ জিহাদ’-এর তত্ত্ব রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার সন্দেহ লভ জিহাদ হয়ে থাকতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE