Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

পরাজিত সিদ্দেক, জিতলেন কমলাক্ষ

সিদ্দেককে ডোবালেন আজমল। ইউডিএফ-হানায় পরাজিত হলেন দক্ষিণ করিমগঞ্জের তিন বারের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ। অন্য দিকে, জেলার পাথারকান্দি আসনে বিজেপির কাছে হারলেন গগৈ সরকারের পরিষদীয় সচিব মণিলাল গোয়ালা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৬ ০২:৫০
Share: Save:

সিদ্দেককে ডোবালেন আজমল।

ইউডিএফ-হানায় পরাজিত হলেন দক্ষিণ করিমগঞ্জের তিন বারের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ। অন্য দিকে, জেলার পাথারকান্দি আসনে বিজেপির কাছে হারলেন গগৈ সরকারের পরিষদীয় সচিব মণিলাল গোয়ালা। তবে নিজের আসন দখলে রাখলেন উত্তর করিমগঞ্জের কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। দলবদলের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, বিজয়ী হলে তা বুঝিয়ে দিলেন রাতাবাড়ির কৃপানাথ মালা। জেলায় সব চেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেন তিনিই।

বিরোধী শিবির একজোট হয়ে তাঁকে পরাজিত করার ছক কষেছিল বলে মন্তব্য করেছেন সিদ্দেক। তিনি বলেন, ‘‘দক্ষিণ করিমগঞ্জে ২৫ জন প্রার্থী ভোট-ময়দানে থাকলেও, দু-এক জন ছাড়া সকলে ছিলেন জোটবদ্ধ। আগে কখনও এমন হয়নি।’’ সিদ্দেকের দাবি, দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বিভিন্ন প্রচারসভায় তাঁর জয়লাভ সম্ভব নয় বলে প্রচার করেছেন। সে জন্য হিন্দু ভোট গিয়েছে ইউডিএফ-এর দিকে। তবে একই সঙ্গে সিদ্দেক মেনে নেন— এ বারের ভোটে হাওয়া ছিল বিজেপির পক্ষেই। তাঁর বক্তব্য, একই কারণে পরাজিত হয়েছেন গৌতম রায়ও।

সিদ্দেককে পরাজিত করে ইউডিএফ প্রার্থী আব্দুল আজিজ খান বলেন, ‘‘দক্ষিণ করিমগঞ্জে উন্নয়নের কোনও কাজই করেননি সিদ্দেক আহমেদ। ভোট-বাক্সে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’’ইউডিএফ সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাসের ছেলে তথা রাতাবাড়ির ইউডিএফ প্রার্থী রাজীব বিশ্বাসকে ২৯ হাজার ৮৫৯ ভোটে পরাজিত করে কৃপানাথবাবু বলেন, ‘‘কংগ্রেসে থাকলে এ বারের ভোটে হয়তো জিততে পারতাম না।’’

পাথারকান্দি বিধানসভা আসনে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা পরিষদীয় সচিব মণিলাল গোয়ালা বিজেপির কৃষ্ণেন্দু পালের কাছে পরাজিত হয়েছেন। ওই কেন্দ্রে ইউডিএফ প্রার্থী দেবন সিনহা ৩৭ হাজার ১৯২টি ভোট পেয়ে রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। মণিলালবাবু পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৯৮টি ভোট। উত্তর করিমগঞ্জ ও বদরপুর আসনগুলি অবশ্য নিজেদের দখলে রেখেছে কংগ্রেস। উত্তর করিমগঞ্জে জিতেছেন গগৈ সরকারের পরিষদীয় সচিব কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। বদলরপুরে জামালউদ্দিন আহমেদ। প্রদেশ বিজেপি নেতা মিশনরঞ্জন দাসকে পরাজিত করেছেন কমলাক্ষ। গণনা শেষ হওয়ার পর ফের ভোট-গণনার দাবি তোলেন মিশনরঞ্জনবাবু। তা নাকচ করে দেন নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক কে শ্রীনিবাসালু। দ্বিতীয় বার জয়ী হয়ে কমলাক্ষবাবু বলেন, ‘‘আমার জয়ের পথকে মসৃণ করেছেন সংখ্যালঘু ভোটাররা।’’ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

উত্তর করিমগঞ্জে কমলাক্ষবাবুর জয়কে তাঁর একার কৃতিত্ব বলে চিহ্নিত করেছেন অনেকেই। তাঁর সমর্থনে একটিমাত্র জনসভায় এসেছিলেন রাজ্য কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা রকিবুল হুসেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

state assembly election 2016 siddique ahmed
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE