রয় ম্যাথু
সেনাবাহিনীর ‘প্রতিবাদী’ জওয়ান রয় ম্যাথুর মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য। জওয়ানের স্ত্রী ফিনি-সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের অভিযোগ, মৃত্যুর আগে মারধর করা হয়েছিল ম্যাথুকে। তাঁর পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে শরীরের বেশ কিছু জায়গায়।
সম্প্রতি সেনার ‘সহায়ক’দের নিয়ে এক স্টিং অপারেশন করে একটি নিউজ পোর্টাল। তাতে দেখানো হয়, সেনাকর্তাদের ছেলেমেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া বা কুকুর ঘোরানোর মতো কাজের জন্যও ম্যাথুর মতো নিম্ন পদমর্যাদার কর্মীদের ব্যবহার করা হয়। সেই ভিডিও-তে দেথা গিয়েছিল রয় ম্যাথুকে। বিএসএফ জওয়ান তেজবাহাদুর যাদবের নালিশ-ভিডিও-র মতো এই বিষয়টি নিয়েও অস্বস্তি পড়ে কেন্দ্র।
শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ম্যাথু। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের নাসিকের দেওলালি ক্যান্টনমেন্টের একটি পরিত্যক্ত সেনা ব্যারাক থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। সেনার দাবি, কেরলের কল্লোম জেলার বাসিন্দা গোলন্দাজ ম্যাথু আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার সকালে ম্যাথুর দেহ বিমানে করে এসে পৌঁছয় তিরুঅনন্তপুরমে। কিন্তু স্বামীর দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে কেরলে নতুন করে কেরলে ময়না-তদন্তের দাবি জানান তাঁর স্ত্রী ফিনি। তা না হলে ম্যাথুর দেহ নিতে অস্বীকার করেন আত্মীয়রা। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ম্যাথুর স্ত্রী ফিনি বলেন, ‘‘আমি বিচার চাইছি। জানতে চাইছি সত্যি কী ঘটেছিল?’’ ফিনির অভিযোগ পাওয়ার পরে তিরুঅনন্তপুরমের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নতুন করে ময়না-তদন্ত হয় ম্যাথুর দেহের। বিমানবন্দরে নামার পরে ম্যাথুর দেহের অবমাননা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন জওয়ানের আত্মীয়রা।
ম্যাথুর মৃত্যুর জন্য সংবাদমাধ্যমকেও এক হাত নেন তাঁর ভাই জন। ম্যাথুর ভাইয়ের দাবি, ‘‘সংবাদমাধ্যম আমার ভাইয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সহায়ক প্রথা নিয়ে কথা বলার সময়ে গোপনে ভিডিও তোলা হচ্ছে তা রয় জানত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy