শিলচর-করিমগঞ্জ রুটে গাড়ি বন্ধ হওয়ায় সমস্যা পড়েন যাত্রীরা। মঙ্গলবার করিমগঞ্জে। ছবি: উত্তম মুহরী।
জাতীয় সড়ক বেহাল। তাই অন্য রাস্তায় শিলচর-করিমগঞ্জ রুটে যাতায়াত করত অসম পরিবহণ নিগমের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যক্তিগত গাড়িগুলি। কিন্তু আজ গ্রামের রাস্তা দিয়ে ওই গাড়ি যেতে নিষেধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার জেরে করিমগঞ্জ-কালীগঞ্জ-বসলা রুটে আজ শিলচর যেতে পারল না ওই গাড়িগুলি। গর্তে ভরে থাকা জাতীয় সড়ক দিয়েই সেগুলি গন্তব্যে রওনা দেয়। করিমগঞ্জ থেকে শিলচরগামী ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পরিস্থিতি শোচনীয়। সেই রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা অত্যন্তই কঠিন। বদরপুরে ওই সড়কে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির জল তাতে জমলে সেটির গভীরতা আন্দাজ করতে পারেন না চালকরা। তাই মাঝেমধ্যে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। সে কারণে অন্য রাস্তার খোঁজ শুরু করেন চালকরা। প্রথম দিকে করিমগঞ্জ-শিলচর রুটে ছোট গাড়িগুলি কালীগঞ্জ-বসলা গ্রামীণ পূর্ত সড়ক দিয়ে যাতায়াত করত। পরে জাতীয় সড়ক আরও বেহাল হওয়ায় পরিবহণ নিগমের নিয়ন্ত্রণাধীন বাস, করিমগঞ্জ-গুয়াহাটি নৈশ বাসগুলিও পূর্ত বিভাগের গ্রামীণ পথ দিয়ে যাতায়াত করতে শুরু করে। এতগুলি গাড়ি যাতায়াত করার জেরে পূর্ত সড়কগুলির হালও জাতীয় সড়কের মতো হতে পারে, সেই আশঙ্কায় সরব হন গ্রামের বাসিন্দারা।
চালকদের অভিযোগ, ওই রাস্তার লাগোয়া কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের গালিগালাজ করেন। মারধর করারও চেষ্টা হয়। দু’দিন ধরে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছিল। আজ কালীগঞ্জ-বসলা পূর্ত বিভাগের গ্রামীণ পথ দিয়ে রাজ্য পরিবহণ নিগমের গাড়িগুলি যাওয়ার সময় উত্তেজনা ছড়ায়। তার জেরে ঘণ্টাদেড়েক করিমগঞ্জ-শিলচর রুটে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ওই গাড়িগুলি ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়েই গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়।
যাত্রীদের বক্তব্য, করিমগঞ্জ থেকে শিলচর— এই ৫৬ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে ১০০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তা আগের প্রায় দ্বিগুণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy