একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন এখনই সম্ভব না হোক, অন্তত ১১ রাজ্যের ভোট তো করানো যায়। বিজেপিই এমন প্রস্তাব দিচ্ছে, আবার তারাই প্রকাশ্যে তা খণ্ডন করছে। আবার নির্বাচন কমিশনও আজ স্পষ্ট করল, কোনও প্রস্তাবই কার্যকর করতে তারা এখনই প্রস্তুত নয়।
আর যাবতীয় গতিবিধির উপরে তীক্ষ্ণ নজর রেখে কংগ্রেস বোঝার চেষ্টা করছে, নরেন্দ্র মোদীর আসল মতলবটি কী! মুখে আজ কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘‘লোকসভা ভঙ্গ করে এখনই ভোট করিয়ে নিক বিজেপি। কংগ্রেস প্রস্তুত।’’ কিন্তু তা করতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানের মতো রাজ্যে যদি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে মেয়াদ বৃদ্ধির চেষ্টা করে বিজেপি, তা হলে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে কংগ্রেস।
কালই মোদী সরকারের এক শীর্ষ মন্ত্রী জানান, লোকসভার সঙ্গে ১১ রাজ্যের বিধানসভা ভোট করার কথা ভাবা হচ্ছে। তার জন্য চলতি বছরের শেষে যে তিন রাজ্যে ভোট, তারা সুপারিশ পাঠাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। কিন্তু আজ আবার বিজেপির মুখপাত্র এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। এ দিকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাওয়ত আজ বলেন, ‘‘লোকসভার সঙ্গে ১১টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করতে গেলে যে সংখ্যক ভিভিপ্যাট মেশিন দরকার, তা কমিশনের কাছে নেই। যদি লোকসভার সঙ্গে ওই ১১টি রাজ্যে এক সঙ্গে নির্বাচন করতে হয়, তা
হলে বাড়তি ভিভিপ্যাট যন্ত্র কেনার জন্য দু’-এক মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’
গত কালই অমিত শাহ একসঙ্গে ভোটের পক্ষে সওয়াল করে আইন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এটি করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। যাতে নীতীশ-নবীনের মতো মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া বিরোধীদের সায় নেই। ফলে আপাতত যত বেশি সম্ভব রাজ্যে লোকসভার সঙ্গে ভোট করিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মতে, সেটিও কিস্তিতে করতে হলে রাজ্য বিধানসভায় তা মঞ্জুর করতে হবে। কমিশন এ মাসের শেষে ইভিএম নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে। আইন কমিশনের রিপোর্ট এসে গেলে একসঙ্গে ভোট নিয়েও আলোচনা হতে পারে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার আবার আজই পটনায় এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘এক দেশ এক ভোট তাত্ত্বিক ভাবে সঠিক হলেও বাস্তবে অসম্ভব।’’
প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি আবার মনে
করেন, ‘‘লোকসভা-বিধানসভায় এক সঙ্গে নির্বাচন করার জন্য স্পষ্ট যুক্তি থাকা প্রয়োজন। অকারণে কোনও রাজ্যে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য ঝুলিয়ে রাখাও ঠিক নয়।’’ কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা বিবেক তন্খা বলেন, ‘‘তেমন চেষ্টা হলে আমরা আদালতে যাব।’’ তবে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘মোদীর মনের কথা তিনিই জানেন। তিনি কী চমক দিতে চাইছেন, সেটিই বোঝার চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy