ফাইল চিত্র।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন শনিবার। সেই নির্বাচনে ভোট না-ও দিতে পারেন কাঁথির অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য। আগামী শনিবার দিল্লির সংসদ ভবনে হবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদেরা ভোট দেবেন এই নির্বাচনে। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোটদান প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকবে। তাই তৃণমূল সাংসদেরা লোকসভার অধিবেশনে যোগ দিলেও, শনিবার কেউ ভোট দিতে সংসদে যাবেন না। কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের সেই অর্থে কোনও সম্পর্কই নেই, তবে খাতায়কলমে ওই পরিবারের পিতা-পুত্র অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও রাজ্যের শাসকদলের সাংসদ। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে তাঁরা ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কাঁথির সাংসদ শিশির। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাকে চিকিৎসকেরা এখনও ভোট দিতে যাওয়ার অনুমতি দেননি।’’ তিনি রয়েছেন কাঁথির বাড়িতেই। আর দিল্লি থেকে তাঁর সাংসদ পুত্র দিব্যেন্দু বলেছেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’’ তাই তাঁরা কেউ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশ উপেক্ষা করে দিল্লিতে গিয়ে ভোট দিয়েছিলেন শিশির-দিব্যেন্দু। কারণ, তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল, আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিংহ ও মথুরাপুরের সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়াই কেবলমাত্র দিল্লিতে ভোট দেবেন। আর বাকি সাংসদেরা ভোট দেবেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতে। দিল্লিতে গিয়ে ভোট দিলেও, শিশির-দিব্যেন্দু দাবি করেছিলেন, দ্রৌপদী মুর্মু যোগ্য প্রার্থী হলেও, দলীয় নির্দেশ মেনে তাঁরা যশবন্ত সিন্হাকেই ভোট দিয়েছেন।
দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে শিশির-দিব্যেন্দু দিল্লিতে গিয়ে ভোট দিলেও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁরা ভোট না দেওয়ার খবরে কোনও হেলদোল নেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। তবে বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, এনডিএ শিবিরের প্রার্থী জগদীপ ধনখড় বিরোধী ইউপিএ শিবিরের প্রার্থী মার্গারেট আলভার থেকে অনেকটাই এগিয়ে, তাই বিজেপি নেতৃত্বও শিশির-দিব্যেন্দুর ভোটের জন্য বাড়তি আগ্রহ দেখাননি। তা ছাড়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এনডিএ শিবিরের প্রার্থী ধনখড়ের সম্পর্ক বেশ ভাল। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল থাকাকালীন ধনখড়ের সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্ক বেশ ভাল ছিল। তাই ধনখড়ের বিরুদ্ধে ভোট না দিয়ে অধিকারী পরিবারও শাসক শিবিরের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্কের দরজা খোলা রাখল বলেই মনে করছে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy