স্মৃতি ইরানি। নিজস্ব চিত্র।
মেয়েরাই শুধু অন্য মহিলাদের থেকে পরামর্শ চান, এগিয়ে চলার শক্তি চান। কখনও দেখেছেন কোনও পুরুষ আর এক জন পুরুষের কাছে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা খুঁজছেন? সমবয়সি এক মহিলার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বললেন, ‘‘সব মেয়ের মধ্যেই নিজের পছন্দের কাজে সফল হওয়ার শক্তি আছে। গুণ আছে। আমাদের তা খেয়াল রাখতে হবে।’’
প্রথম বই লিখেছেন লকডাউনের সময়ে। তা-ও আবার ‘থ্রিলার’! রবিবার সে বই, ‘লাল সালাম’ নিয়ে আলোচনা করতেই বসেছিলেন ‘জয়পুর লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল’ প্রাঙ্গণে। কিছু ক্ষণে মোড় ঘুরল কথোপকথনের। সাহিত্যচর্চার আড্ডায় জায়গা করে নিল সমাজে মহিলাদের অবস্থান এবং লড়াই।
কোথা থেকে এত ধরনের কাজ করার শক্তি পেলেন স্মৃতি? একই সঙ্গে অভিনেত্রী, মন্ত্রী আবার সাহিত্যিক হওয়া তো সহজ কাজ নয়। তখনই স্মৃতির দ্রুত উত্তর, ‘‘হয়তো আমার মা বাঙালি বলে শক্তি পেয়েছি বেশি।’’ নিজের পছন্দমতো কাজ করা, ইচ্ছা মতো পড়ার শক্তি জুগিয়েছেন তাঁর মা-ই, জানালেন স্মৃতি। নিজের ছোটবেলার কথা বলে চলেন মন্ত্রী। জানান, অনেক কম বয়সেই মাকে বলেছিলেন জীবনে বড় কিছু করবেন তিনি। মা অবাক হয়েছিলেন, কিন্তু থামাননি।
আর যাঁদের মায়ের মধ্যে এতটা শক্তি নেই, তাঁদের কি এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না? তেমনও নয়। মন্ত্রীর পরামর্শ, ‘‘বই পড়তে তো কেউ বাধা দিচ্ছে না। বই পড়তে হবে। বই নিয়ে বাছ-বিচার করলে চলবে না। আমি চার্লস ডিকেন্স থেকে আর্চিস, সব পড়েছি। সাহিত্য শক্তি দেয় সৃজনশীল হওয়ার। সৃজনশীলতাই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করে।’’ তাঁর ক্ষেত্রেও তেমন হয়েছে। এখনও নিজেকে নিত্য নতুন ভূমিকায় দেখতে চান বলে জানালেন স্মৃতি।
কেন্ত্রীয় মন্ত্রীর পরামর্শ, মেয়েরা যদি নিজেদের উপর ভরসা রাখেন আর লেখাপড়া করেন, তা হলে এগিয়ে চলার জন্য, সন্তানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যের কাছে অনুপ্রেরণা খুঁজতে হবে না। শক্তি মিলবে অন্দর থেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy