প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
প্রথম বা দ্বিতীয় সারি নয়। সামাজিক অগ্রগতির সূচকে পশ্চিমবঙ্গ একেবারে চতুর্থ সারির রাজ্যগুলির তালিকায় স্থান পেল। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশে তৈরি রিপোর্টে সামাজিক অগ্রগতির সূচকে চতুর্থ সারির রাজ্যগুলির মধ্যে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতও।
আজ প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় ‘সামাজিক অগ্রগতির সূচক: ভারতের রাজ্য ও জেলাগুলি’ শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। সামাজিক অগ্রগতির সূচকের ভিত্তিতে রাজ্যগুলির ছয়টি শ্রেণি তৈরি হয়েছে। এক, খুবই উচ্চমানের সামাজিক অগ্রগতি, দুই, উচ্চমানের সামাজিক অগ্রগতি, তিন, মাঝারির মধ্যে উপরের মানের অগ্রগতি, চার, মাঝারির মধ্যে নিম্ন মানের সামাজিক অগ্রগতি, পাঁচ, নিম্ন মানের সামাজিক অগ্রগতি এবং ছয়, খুবই নিম্ন মানের সামাজিক অগ্রগতি।
প্রথম সারিতে পুদুচেরি, লক্ষদ্বীপ, চণ্ডীগড়ের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে রয়েছে গোয়া, সিকিম, মিজোরাম, তামিলনাড়ু, হিমাচল প্রদেশ, কেরল। চতুর্থ সারিতে, অর্থাৎ মাঝারির মধ্যে নিম্ন মানের সামাজিক অগ্রগতির তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। একই সারিতে রয়েছে বিজেপিশাসিত গুজরাত, হরিয়ানা। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, ত্রিপুরাও এই শ্রেণিতে রয়েছে।
খুব নিম্ন মানের, অর্থাৎ সামাজিক অগ্রগতির শেষ সারিতে জায়গা পেয়েছে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড। জেলাগুলির মধ্যে প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে মিজোরামের আইজল, হিমাচলের সোলান ও শিমলা। রিপোর্ট তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস-এর চেয়ারম্যান অমিত কপূর বলেন, মানুষের মূল চাহিদা, সুস্থতার ভিত ও সুযোগ— এই তিনটি বিষয়ে বিভিন্ন মাপকাঠির ভিত্তিতে সামাজিক অগ্রগতির সূচক তৈরি হয়েছে। বিবেক দেবরায় বলেন, ‘‘পুরো রিপোর্টটাই তৈরি হয়েছে বস্তুনিষ্ঠ পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy