—ফাইল চিত্র।
জোট ভাঙেনি। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সপা এবং কংগ্রেস হাত মিলিয়েই লড়ছে। কর্মী-সমর্থকদের স্বস্তি দিয়ে দু’দলের তরফেই বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হল। লখনউতে সপা সদর দফতরে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অখিলেশ যাদব নিজেই জানালেন, জোট ভাঙেনি। কংগ্রেসের তরফেও দিল্লি থেকে রবিবার জানানো হল একই কথা। শেষ পর্যন্ত ১০৫টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়ছে সপা। কংগ্রেস ও সপা সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে তুমুল টানাপড়েনের মুখে সপা-কংগ্রেস জোট। আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেসের ক্ষোভ থাকায়, জোট নিয়ে টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ১২১টি আসন চেয়েছিল। কিন্তু অখিলেশ যাদব কংগ্রেসকে ৯০টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি ছিলেন না। পরে তা বাড়িয়ে ৯৯টি আসন ছাড়তে রাজি হন অখিলেশ। সেই নিয়ে দু’দলের মধ্যে দর কষাকষি চলার মধ্যেই আচমকা প্রায় শ’দুয়েক আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেয় সপা। এই আসনগুলির মধ্যে এমন বেশ কিছু আসনও ছিল, যেগুলিতে গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল। জটিলতার শেষ অবশ্য এতেই নয়। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীর কেন্দ্র অমেঠি ও রায়বরেলির মধ্যে যে ১০টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলির মধ্যে মাত্র ৩টি কংগ্রেসকে ছাড়া হবে বলে সপা জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ১৯১ জনের নাম ঘোষণা, ‘ঘরশত্রু’ শিবপালকেও টিকিট দিলেন অখিলেশ
সপার এই ঘোষণার পর জোটের সম্ভাবনা বিশ বাঁও জলে পড়ে যায়। জোট থাকছে কি না, তা নিয়ে দু’দলের নেতৃত্বই নেতিবাচক মন্তব্য করতে শুরু করেন। তবে সপার তরফে অখিলেশ নিজে এবং কংগ্রেসের তরফে সনিয়া গাঁধী নিজে জট খুলতে সক্রিয় হন। সনিয়ার নির্দেশে অখিলেশের সঙ্গে বৈঠক করতে যান প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। এই বৈঠকেই সমাধানসূত্র মিলেছে বলে খবর। অখিলেশ আরও ৬টি অর্থাৎ মোট ১০৫টি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনে সপা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কিন্তু অমেঠি-রায়বরেলির আসনগুলির বিষয়ে কী আলোচনা হল, কংগ্রেসের জেতা আসনগুলি থেকে সপা প্রার্থী প্রত্যাহার করছে কি না, এ সব প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
লখনউতে রবিবার সপার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। সেই সাংবাদিক সম্মেলনেই জোট সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে অখিলেশ বলেছেন, ‘‘জোট বহাল রয়েছে।’’ তবে এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি বলেননি। যে কংগ্রেস গত দু’দিন ধরে উল্টো সুরে কথা বলেছিল, তারাও রবিবার জানিয়েছে, জোট থাকছে। তবে ঠিক কোন রফাসূত্রে পৌঁছে ফের জোটের গাড়ি এগোতে শুরু করল, তা এখনও স্পষ্ট হওয়া বাকি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy