Advertisement
০৯ অক্টোবর ২০২৪
Shraddha Walker murder case

সেই দিল্লি! খুনের পর ২২ টুকরো করে ফ্রিজে রাখলেন স্ত্রী-পুত্র মিলে, কিনারা শ্রদ্ধা তদন্তের সূত্রেই

শ্রদ্ধার সব দেহাংশ এখনও মেলেনি। সেই দেহাংশ খুঁজতে দিল্লির সব থানায় নির্দেশ জারি হয়। তখনই জানা যায়, গত জুনে পাণ্ডব নগর দেহাংশের খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু পচেগলে যাওয়ায়, তা কার, জানা যায়নি।

এই ফ্রিজেই রাখা হয় নিহত অঞ্জন দাসের দেহ টুকরোগুলি।

এই ফ্রিজেই রাখা হয় নিহত অঞ্জন দাসের দেহ টুকরোগুলি। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ১৩:১১
Share: Save:

শ্রদ্ধা ওয়ালকরের মতোই আরও একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজধানী। অভিযোগ, এ ক্ষেত্রেও খুন করে দেহ টুকরো করা হয় এক ব্যক্তির দেহ। সেই টুকরো ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং তার পর সেই টুকরো বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। এই অভিযোগে নিহতের স্ত্রী এবং পুত্রকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। পূর্ব দিল্লির ঘটনা।

শ্রদ্ধাকে খুন করে লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব তাঁর দেহ টুকরো করে কেটেছিলেন। ১৮ মে শ্রদ্ধা খুন হন। সেই দেহাংশ সংরক্ষণ করে রাখা হয় ফ্রিজে। এবং তার পর তিনি সেই দেহাংশ মেহরৌলীর জঙ্গলে ফেলে আসতেন রোজ রাতে। আফতাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার নির্মমতা নাড়িয়ে দিয়েছে দেশকে। তার মধ্যেই এমন আরও একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এল।

শ্রদ্ধার সব দেহাংশ এখনও মেলেনি। সেই দেহাংশ খুঁজতে দিল্লির সব থানায় নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তখনই জানা যায়, গত জুনে পাণ্ডব নগর দেহাংশের খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু পচেগলে যাওয়ায়, তা কার, তখন জানা যায়নি। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে ফের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় জুন মাসে উদ্ধার হওয়া দেহাংশ শ্রদ্ধার কি না। তখনই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তদন্তে প্রকাশ, ওই দেহাংশ অঞ্জন দাস নামে পাণ্ডব নগরের এক ব্যক্তির। তিনি সম্প্রতি এক বিবাহ -বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অঞ্জনের স্ত্রী পুনম এবং ছেলে দীপক এই বিষয়ে জানতে পেরে তাঁকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, অঞ্জনকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। তার পর তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো করা হয়। সেই দেহ ফ্রিজে রাখা হয়। এবং তা পরে ফেলে আসা হয় বিভিন্ন জায়গায়। অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই হত্যা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। স্থানীয় বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ দেখতে পেয়েছে, গভীর রাতে ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন দীপক। পিছনে তাঁর মা। অন্য ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দিনের বেলায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখছেন দু’জন। পরে ওই সব জায়গা থেকেই মেলে অঞ্জনের দেহাংশ। আফতাবের কিস্‌সা পুনমরা জানতেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে কাছাকাছি সময়ে একই ধরনের দুই কাণ্ড বিস্মিত করেছে তদন্তকারীদের। দু’টি ঘটনার মধ্যে বহু মিল তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এই নৃশংস ঘটনায় আরও এক হত্যাকাণ্ডের ছায়া দেখা যাচ্ছে। দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড থেকে ‘অনুপ্রাণিত’ হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৪ নভেম্বর বারুইপুরে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে খুন করেন তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে। শ্রদ্ধাকে যেমন ৩৫ টুকরো করে ফেলা হয়, তেমনই প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বলকেও খুন করে ছয় টুকরো করেছিলেন তাঁর স্ত্রী শ্যামলী চক্রবর্তী এবং ছেলে জয়। পুলিশ সূত্রে এমনই খবর। শ্যামলী এবং জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, আফতাবের ‘কীর্তি’ দেখেই ‘অনুপ্রেরণা’ পেয়েছিলেন তাঁরা। তাই উজ্জ্বলকে খুন করে দেহ তাঁরা টুকরো টুকরো করে ফেলে দিয়েছিলেন বাড়ির কাছাকাছি জলাশয়-সহ বিভিন্ন এলাকায়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE