পাকিস্তানি সেনার গুলিতে নিহত সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র জওয়ান মহম্মদ ইমতিয়াজ়ের দেহ ফিরল বিহারে। সোমবার পটনা বিমানবন্দর হয়ে তেরঙ্গায় মোড়া তাঁর কফিনবন্দি দেহকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয় নিহত জওয়ানকে। পরে সেখান থেকে জওয়ানের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সারন জেলার নারায়ণপুর গ্রামে। সেখানেই শেষকৃত্য হওয়ার কথা ইমতিয়াজ়ের। সোমবার বিমানবন্দরে জওয়ানের ছেলে ইমরান রাজ়া বলেন, “বাবার জন্য আমি গর্বিত। দেশের জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে আমি সেলাম জানাই।”
গত শনিবার সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার আগে জম্মু ও কাশ্মীরের আরএস পুরা সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর গুলিবর্ষণ শুরু করেছিল পাকিস্তানি ফৌজ়। ওই সময় পাক বাহিনীর গুলিতে বিএসএফের আট জন জওয়ান জখম হন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেই রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ইমতিয়াজ়ের। তিনি সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে সাব-ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। নিহত জওয়ানের ছেলে বলেন, “আমার বাবা খুব সাহসী মানুষ ছিলেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ আমাদের শেষ কথা হয়েছিল। তাঁর ডান পায়ে আঘাত লেগেছিল।”
সোমবার সকালে পটনা বিমানবন্দরে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দলের রাজনীতিকেরা। বিহারের বিজেপির সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল, বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এ ছাড়া বিহারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শ্রবণ কুমার এবং কয়েক জন আমলাও ছিলেন সেখানে। ইমতিয়াজ়ের দেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে ফেরার আগে ইমরান বলেন, “পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত। আমাদের সরকারের এমন কড়া জবাব দেওয়া উচিত, যাতে আর কোনও সন্তানকে তাঁর বাবাকে হারাতে না হয়।”
আরও পড়ুন:
জওয়ানের মৃত্যুর পরে গত শনিবার বিএসএফের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানান, আন্তর্জাতিক সীমান্তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় সাহসিকতার সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন মহম্মদ ইমতিয়াজ। নিহত জওয়ানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল-সহ অন্য আধিকারিকেরাও। রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহ এবং বিএসএফের অন্য আধিকারিকেরা তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।