তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে চেষ্টায় কোনও ফাঁক রাখেননি সোনম রঘুবংশী। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাজা রঘুবংশীকে খুনের পর স্বামীর ফোন এবং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন সোনম। সেই পোস্টে লেখা ছিল ‘সাত জন্মের সাথী’।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৩ মে রাজাকে খুন করা হয়। তার পরে দুপুর ২টো ১৫ মিনিটে রাজার ফোন এবং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ওই পোস্ট করেন সোনম। তদন্তকারীরা মনে করছেন, স্বামী বেঁচে রয়েছেন এই বার্তা দিতে এবং পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য তদন্তের হাত থেকে রেহাই পেতেই এই কৌশল নিয়েছিলেন সোনম।
গত ১১ মে রাজার সঙ্গে বিয়ে হয় সোনমের। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন দু’জন। ২৩ মে সেখান থেকেই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। ১০ দিন পরে রিয়ার আরলিয়াংয়ের এক খাদে রাজার দেহ উদ্ধার হয়। রাজার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছে মেঘালয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, তাঁর মাথার পিছনের দিকে ঘাড়ের উপরে একটি গভীর ক্ষত মিলেছে। কপালের উপরের দিকে আর একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আভাস, ধারালো কিছু দিয়ে মাথার দু’দিকে আঘাত করা হয়েছিল রাজাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজার শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে ‘সবচেয়ে মারাত্মক’ দুটো আঘাত ছিল মাথার দু’দিকে। রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের এক ধাবা থেকে গ্রেফতার হন সোনম। তিনি ধাবার মালিকের কাছে দাবি করেন, তাঁর গয়নাগাটি চুরি হয়েছে। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। কী ভাবে তিনি সেখানে এসেছেন, জানেন না।