Advertisement
E-Paper

রাজা বা রাজ কেউই নন! তৃতীয় কারও সঙ্গে সংসার পাতার কথা ভাবছিলেন সোনম? মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড়

হত্যাকাণ্ডে সোনমই মূলচক্রী বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। রাজকে তিনি শুধুমাত্র ব্যবহার করেছিলেন নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য! সূত্রের দাবি, নিজের বড় লক্ষ্য পূরণ করতে রাজকে দাবার ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করছিলেন সোনম।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৫ ১৮:০০
মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে হত্যার তদন্তে পুলিশ।

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে হত্যার তদন্তে পুলিশ। —ফাইল চিত্র।

মেঘালয়ের মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড়! স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুন করতে ‘প্রেমিক’ রাজ সিংহ কুশওয়াহাকে স্রেফ দাবার বোড়ের মতো ব্যবহার করেছিলেন সোনম রঘুবংশী? সংসার পাতার পরিকল্পনা ছিল তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে! এমনটাই সন্দেহ করছেন মেঘালয় হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারীরা।

রাজার খুনের তদন্তে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সোনম এবং তাঁর ‘প্রেমিক’ রাজ। সংবাদমাধ্যম ‘টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুসারে, হত্যাকাণ্ডে সোনমই মূলচক্রী বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। রাজকে তিনি শুধুমাত্র ব্যবহার করেছিলেন নিজের কার্যসিদ্ধির জন্য। সূত্রের দাবি, নিজের ‘বড়’ লক্ষ্য পূরণ করতে রাজকে দাবার ঘুঁটি হিসাবে ব্যবহার করছিলেন সোনম। অন্য কারও সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সোনমের এই পরিকল্পনার কথা টেরও পাননি রাজ।

পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক সূত্রে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সোনমকে আত্মগোপনের জন্যও সাহায্য করছিলেন রাজ। গত ৬ জুন উত্তরপ্রদেশের সোনম যে ট্যাক্সিটি ব্যবহার করেছিলেন, সেই ট্যাক্সিচালককে টাকা দিয়েছিলেন রাজই। তদন্তকারী দলের সন্দেহ, কোথায় গা-ঢাকা দেবেন, তা-ও স্থির করে ফেলেছিলেন সোনম। মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে তিনি একটি ফ্ল্যাটেরও ব্যবস্থা করেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ওই ফ্ল্যাটে সোনমের থাকার পরিকল্পনার কথা তিনি ছাড়া অন্য কেউই জানতেন না। এমনকি এই ঘটনায় ধৃত অন্য অভিযুক্তেরাও এ বিষয়ে একেবারে অন্ধকারে ছিলেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, রাজ এবং সোনমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই প্রেমের সম্পর্কের জেরেই রাজাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল। তবে এ বার এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। বস্তুত, সোনমের সঙ্গে রাজের প্রেমের কথা শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন ধৃত তরুণের পরিবারের সদস্যেরা। নিয়োগকর্তা এবং কর্মীর মধ্যে যেমন সম্পর্ক হয়, রাজ এবং সোনমের মধ্যেও তেমনই সম্পর্ক ছিল বলে দাবি ধৃতের বোনের। রাজের বোনের বক্তব্য, তাঁর দাদা কোনও ভাবেই এমন কাজ করতে পারেন না। রাজকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর। রাজ সোনমকে ‘দিদি’ বলে ডাকতেন বলেও দাবি পরিবারের।

meghalaya Crime sonam raghuvanshi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy