Advertisement
০৪ জুন ২০২৪

অসমে নয়া জঙ্গিদল সংবিজিতের

নিজে কার্বি হয়েও বড়ো জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে অনেক নাশকতা ঘটিয়েছে ইংতি কাথার সংবিজিৎ। এ বার পরেশ বরুয়া ও খাপলাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় নিজের জেলায় কার্বিদের নিয়েই নতুন জঙ্গি সংগঠন গড়ল সে। সংগঠনের নাম ‘পিপলস ডেমোক্র্যাটিক কাউন্সিল অফ কার্বি লংরি’। সংক্ষেপে পিডিসিকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:২৯
Share: Save:

নিজে কার্বি হয়েও বড়ো জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে অনেক নাশকতা ঘটিয়েছে ইংতি কাথার সংবিজিৎ। এ বার পরেশ বরুয়া ও খাপলাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় নিজের জেলায় কার্বিদের নিয়েই নতুন জঙ্গি সংগঠন গড়ল সে। সংগঠনের নাম ‘পিপলস ডেমোক্র্যাটিক কাউন্সিল অফ কার্বি লংরি’। সংক্ষেপে পিডিসিকে।

দীর্ঘদিন সংবিজিতের হাতে ছিল এনডিএফবি সংগ্রামপন্থী শাখার নেতৃত্ব। তার নির্দেশে এনডিএফবি কোকরাঝাড়, শোণিতপুরে গণহত্যা করেছে। কিন্তু গত বছর তাকে দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সংবিজিতের কাজকর্ম এবং বড়োদের দাবি আদায়ের লড়াইয়ের নেতৃত্ব কার্বি যুবকের হাতে চলে যাওয়া নিয়ে বড়োদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছিল। তাই ওই সিদ্ধান্ত। তার পর থেকে দলের রাশ জি বিদাইয়ের হাতে। সংবিজিৎ এত দিন মায়ানমারের শিবিরে আলফা স্বাধীনের মাথা পরেশ বরুয়া ও খাপলাংয়ের আশ্রয়ে ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই মধ্য অসমে ঘাঁটি শক্ত করতে নিজেদের শাখা সংগঠন তৈরির ছক ছিল পরেশের। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই, এ বার সরাসরি এনএসসিএন খাপলাং বাহিনীর পৃষ্টপোষকতায় এবং সংবিজিতের নেতৃত্বে কার্বি আংলংয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের জন্ম হল।

কার্বি আংলংয়ে ইউপিডিএস, কেএনএলএনএফের পরে কেপিএলটিও শান্তির পথে পা বাড়িয়েছে। মাসের প্রথমে একতরফা সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব-সহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছে তারা। কেপিএলটি নাশকতা, তোলাবাজি, অপহরণ ছাড়াও জড়িত ছিল গন্ডার হত্যায়। পুলিশের মতে, তাদের পিছনে ছিল এনএসসিএন আই-এমের মদত। কেপিএলটি একতরফা সংঘর্ষবিরতির কথা জানানোর পরে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়, তা পূরণ করতে আর দেরি করেননি পরেশ, খাপলাং ও সংবিজিৎ। নতুন উগ্রপন্থী সংগঠন প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণার সঙ্গেই তারা জানিয়ে দেয়, পিডিসিকে খাপলাং-আলফা-এনডিএফবি-কেএলও ও মণিপুরি জঙ্গিদের যৌথ মঞ্চ ‘ইউএনএলএফ ওয়েস্ট সাউথ ইস্ট এশিয়া’র সদস্য।

পুলিশের মতে, কেপিএলটি শান্তির পথে আসায় কার্বি আংলংয়ে শান্তি ফিরে আসছিল। তা আলফা স্বাধীন ও খাপলাং বাহিনীর কাম্য ছিল না। তাই কেপিএলটির দলছুট সদস্য ও নিজেদের সদস্যদের কাজে লাগিয়ে নাশকতা ও জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া ‘অভিজ্ঞ’ সংবিজিৎকে সামনে রেখে ঝটপট নতুন সংগঠন তৈরি করে ফেলল পরেশ ও খাপলাংরা। পুলিশের আশঙ্কা, নিজেদের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠা করতে আলফা-খাপলাং মদতে কোনও বড় নাশকতা ঘটাতে পারে সংবিজিৎ। বিশেষ করে আঘাত নামতে পারে ওই এলাকায় বসবাস করা হিন্দিভাষী, বাঙালি ও আদিবাসীদের উপরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

terrorist Songbijit
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE