সনিয়া গাঁধীর কথা শেষ হতেই তিনি বললেন, ‘‘এ বার মমতাজির হাতে আমি বৈঠকের ভার তুলে দিচ্ছি!’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবার নিজের কথা শেষ হতে বললেন, ‘‘সনিয়াজি, এ বার আপনিই বৈঠক পরিচালনা করুন।’’ সনিয়া শুনে বললেন, ‘‘কেন মমতাজি, আপনিই পরিচালনা চালিয়ে যান না!’’ মমতা এক গাল হেসে বললেন, ‘‘আপনি বয়োজ্যেষ্ঠা নেত্রী।’’ এ বার সনিয়া হেসে বললেন, ‘‘না, কাম অন! জানি, আপনাকে আগে চলে যেতে হবে। ততক্ষণ আপনি পরিচালনা করুন। তার পরে আমি করব।’’
শেষ পর্যন্ত মমতা বৈঠক ছেড়ে আগে বেরিয়ে যাননি। বিজেপি-বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রায় পৌনে দু’ঘন্টার বৈঠকের পুরোটাই সনিয়া-মমতা একসঙ্গে বসে পরিচালনা করেছেন। যা দেখে কংগ্রেস ও তৃণমূল, দু’দলের নেতারাই মানছেন, বৈঠকের পরতে পরতে সনিয়ার সঙ্গে মমতার সখ্য ও বোঝাপড়া ফুটে উঠেছে। স্পষ্ট হয়েছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানের সম্পর্ক।
বস্তুত মঙ্গলবার বিকেলে সনিয়া যখন মমতাকে ফোন করেন, তখনই এই বোঝাপড়া স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সোমবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির ঝোড়ো বৈঠকে সভানেত্রীর পদে থেকে যেতে রাজি হলেও সনিয়া বলেছিলেন, বিক্ষুব্ধ নেতাদের চিঠিতে তিনি আহত। মঙ্গলবার কিন্তু মমতার সঙ্গে সনিয়ার আলোচনা মসৃণ ভাবেই এগিয়েছিল। সনিয়া প্রস্তাব দেন, আর্থিক বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত, জিএসটি ক্ষতিপূরণের মতো বিষয়ে আলোচনা হোক। মমতা নিট-জেইই নিয়ে আলোচনার কথা বলেন। দু’জনে মিলে যৌথ ভাবে বৈঠকের আহ্বান জানাবেন বলেও ঠিক হয়ে যায়।