কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। ছবি-ইন্টারনেট।
অসুস্থতার খবরটা কানে আসতে শুধুমাত্র টুইট করেই আরোগ্য কামনা করে ক্ষান্ত হয়েছেন, এমন নয়। তার আগেই নিজের সচিবালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, সনিয়া গাঁধীর চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে। বারাণসীতে কোনও বিমান পাঠানোর প্রয়োজন কি না, তা-ও খোঁজ নিতে। সেখানেই থেমে থাকেননি। নিজে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ শীলা দীক্ষিতকে ফোন করে বিরোধী দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর বিষয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে খোঁজ নিয়েছেন।
ইনি নরেন্দ্র মোদী।
তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতেই ঝড় তুলতে গিয়েছিলেন প্রধান প্রতিপক্ষ দলের নেত্রী সনিয়া গাঁধী। ঝড় তুলেও দিয়েছিলেন। এমনকী বারাণসীতে বিমানবন্দরে যখন তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে, সেই সময় যে বিবৃতি জারি করেছেন সনিয়া, তাতেও তুলোধনা করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে। কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধ যা-ই থাক, সৌজন্যের রাজনীতিতে পিছিয়ে থাকতে চাননি প্রধানমন্ত্রী। দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গুলাম নবি আজাদ তখনও বলেছেন, গঙ্গারাম হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হবে সনিয়াকে। গঙ্গারামের চিকিৎসকরাও তৈরি ছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দরে সরকারের দূত গিয়ে জানিয়ে দেন, কাছেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে থাকা রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হয়ে গিয়েছে। রাতে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ, বারাণসী থেকে দিল্লিতে আসার পথে সনিয়ার শারীরিক অবস্থা আর একটু অবনতি হয়েছিল।
মোদী সেখানেই থেমে থাকেননি। আজ সকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরকেও হাসপাতালে গিয়ে সনিয়ার সঙ্গে দেখা করে আসার নির্দেশ দেন। গতকাল মোদীর টুইটের পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ‘ধন্যবাদ’ জানানো হয়। কিন্তু মোদীর পক্ষ থেকে যে সৌজন্য দেখানো হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের তপ্ত রাজনীতির মধ্যে সেটিকে বড় করে তুলে ধরতেও চাননি কংগ্রেস নেতারা। বরং কাল রাত কাটিয়ে আজ দুপুরেই সেনা হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে নিজের পছন্দের গঙ্গারাম হাসপাতালে চলে গিয়েছেন সনিয়া। এই সেনা হাসপাতালেই দীর্ঘ চিকিৎসা হয়েছিল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। প্রয়োজন হলে গঙ্গারামের চিকিৎসকের দলও সেখানে আসতে পারতেন। কিন্তু কী কারণে হাসপাতাল বদল হল, তা ধোঁয়াশায় রেখেই অসুস্থ সনিয়াকে নিয়ে যাওয়া হল গঙ্গারামে।
দলের এক নেতা অবশ্য বলেন, আসলে গঙ্গারাম হাসাপাতালেই অনেক দিন ধরে চিকিৎসাধীন সনিয়া। সেখানকার পালমোনোলজি বিভাগের চিকিৎসক অরূপ বসুর অধীনে এর আগেও সেখানে ভর্তি ছিলেন। সনিয়ার গতিবিধি সম্পর্কেও এই চিকিৎসকরা ওয়াকিবহাল। তাই সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গঙ্গারাম হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসক ডি এস রানা এক বিবৃতি জারি করে বলেন, ‘‘সনিয়া গাঁধীকে আজ বেলা দেড়টায় গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর শরীরে জলের অভাব দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন- গুয়াহাটির আকাশে মুখোমুখি ধাক্কা থেকে বাঁচল ইন্ডিগোর ২ বিমান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy