ফাইল চিত্র।
মন্ত্রিসভার রদবদলের আগে যে ডজন পূর্ণমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন সেই তালিকায় রয়েছেন, কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় বিষয়ক মন্ত্রী থেবরচন্দ গহলোত। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি ছিলেন রাজ্যসভার নেতাও। বিজেপির এই দলিত নেতা শুধু মন্ত্রীপদ থেকেই ইস্তফা দেননি, পদত্যাগ করেছেন সাংসদপদ থেকেও। তাঁকে করা হয়েছে কর্নাটকের রাজ্যপাল। এ বার প্রশ্ন, কে হবেন পরবর্তী রাজ্যসভার নেতা?
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দৌড়ে যাঁরা এগিয়ে রয়েছেন, তাঁরা হলেন পীযূষ গয়াল, নির্মলা সীতারামন এবং ভূপেন্দ্র যাদব। কেন এই নামগুলি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে তার ব্যাখ্যা, গয়াল এমনিতেই রাজ্যসভার উপনেতা। স্বাভাবিক ভাবেই শূন্যস্থান তৈরি হলে, তাঁকে সেখানে নিয়ে আসা সবচেয়ে সহজ সমাধান।
পাশাপাশি সদ্য রেল মন্ত্রক খুইয়েছেন গয়াল। তাঁর মনোবল চাঙ্গা রাখার দাওয়াই হিসেবেও এই গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় পদটি তাঁকে দেওয়া হতে পারে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নামটি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে অন্য কারণে। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত রাজ্যসভার এই শীর্ষ পদটিতে কোনও মহিলাকে দেখা যায়নি। সেই প্রথা ভেঙে মহিলা ক্ষমতায়ণের বার্তা প্রধানমন্ত্রী দিতে চাইবেন কি না, সেটিও দেখার। অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ রাজস্থান থেকে আসা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদবের মূল পরিচয় দলের সংগঠক হিসাবে। সদ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে তিনিও রয়েছেন দৌড়ে।
বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডাও রাজ্যসভায় সদস্য। তবে তিনি এমনিতেই এত গুরুদায়িত্ব সামলাচ্ছেন যে, তাঁকে রাজ্যসভার নেতা করার কথা ভাবছে না দল, এমনটাই জানাচ্ছে সূত্র।
রাজ্যসভার নেতা পদটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই মর্যাদাপূর্ণও বটে। অতীতে চোখ রাখলে দেখা যাবে দেশের প্রখ্যাত নেতারা এই পদে থেকে কাজ করেছেন। লালবাহাদুর শাস্ত্রী, উমাশঙ্কর দীক্ষিত, কমলাপতি ত্রিপাঠী, আই কে গুজরাল, বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ থেকে লালকৃষ্ণ আডবাণী, প্রণব মুখোপাধ্যায় থেকে মনমোহন সিংহ বিভিন্ন সময়ে থেকেছেন রাজ্যসভার এই পদে। বর্তমানে তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিন্হাকেও দেখা গিয়েছে রাজ্যসভার নেতার পদে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy