রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রায় ভোটমুখী বিহারে গিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন অভিযোগ করলেন, বিজেপি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে হাতের পুতুল বানিয়ে রেখেছে। অভিযোগ করলেন ভোট চুরির। মুজফ্ফরপুরের গাইঘাটে জনসভায় ওই ডিএমকে নেতা আজ বলেন, বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের নামে ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া ‘সন্ত্রাসবাদের থেকেও ভয়ঙ্কর’। তাঁর দাবি, “গণতন্ত্র রক্ষায় কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং আরজেডির তেজস্বী যাদব হাত মিলিয়েছেন।” স্বচ্ছ নির্বাচন হলে হারবে জেনে বিজেপি মানুষকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত করার ছক কষছে বলে অভিযোগ তাঁর। স্ট্যালিন বলেন, “যখনই ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে, রণহুঙ্কার দিয়েছে বিহার।”
এ দিকে, স্ট্যালিনের এই সফর নিয়ে ক্রমশ চড়ছে রাজনীতির পারদ। ধক থাকলে ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারানের বিহারিদের সম্পর্কে ও ছেলে উদয়নিধির সনাতন ধর্ম সম্পর্কে বলা কথার পুনরাবৃত্তি বিহারে এসে করে দেখান ডিএমকের শীর্ষনেতা স্ট্যালিন, চ্যালেঞ্জ করেছেন তাঁর নিজের রাজ্যের বিজেপি মুখপাত্র নারায়ণ তিরুপতি। তিনি সমাজমাধ্যম পোস্টে লিখেছেন, ‘উদয়নিধি বলেছিলেন সনাতন ধর্মকে অবশ্যই ধ্বংস করা উচিত, তা আপনি বিহারে গিয়ে বলতে পারবেন? আর আপনার আত্মীয় ও ডিএমকের সাংসদ দয়ানিধি মারান বলেছিলেন বিহারিরা তামিলনাড়ুর শৌচাগার সাফ করেন। সেই কথাটাও কি আপনি বুক ঠুকে বলতে পারবেন?’ তাঁর কটাক্ষ ‘আপনি না বিরাট নীতিবাগীশ? আত্মমর্যাদার দ্রাবিড় মডেলের সিংহ? দেখি, আপনি বলে দেখান তো।’
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন প্রধান কে আন্নামালাইও একই সুরে লিখেছেন, ‘আশা করি তিনি (স্ট্যালিন) রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এক মঞ্চে থাকবেন আর সেখান থেকে গর্বের সঙ্গে তাঁর এবং দলের অন্যদের করা অসম্মানজনক উক্তিগুলি সবার সামনে আবার গর্বের সঙ্গে করবেন।’ যে বিহারিদের নিয়ে তাঁরা মশকরা করেন, তাঁদের কাছেই স্ট্যালিন ভোট চাইতে যাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আপনার দলের লোকজন বিহারিদের তো মুর্খ, ফুচকাওয়ালা, জমাদার বলে। আগে তো আপনি ক্ষমা চান।’
এই সফর নিয়ে সরব জেডিইউও। দলের নেতা অভিষেক যা বলেছেন, ‘রাহুলজি স্ট্যালিন সাহেবকে বিহারে ডেকেছেন, হিন্দু পুরাণ নিয়ে অমার্জিত কথা বলেছিলেন যিনি, তাঁকে। রেবন্ত রেড্ডিকেও ডেকেছেন। বিহারিদের ডিএনএ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন যিনি। তেজস্বী যাদব আশা করেন কী করে, এমন মানসিকতার লোকজনের হাত ধরার পরেও বিহারের মানুষ তাঁকে সমর্থন করবেন?’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)