জওহরলাল নেহরু
স্বচ্ছ ভারত অভিযানের লোগোয় গাঁধীর চশমার ছবি ব্যবহার থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে তাঁকে কূটনৈতিক অস্ত্র হিসাবে কাজে লাগানো। গত কয়েক বছরে গাঁধীকে বারবার নিজেদের ব্র্যান্ড হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন জওহরলাল নেহরুর প্রতি।
লোকসভার স্থায়ী কমিটি কিন্তু এ বার এমন সব বিষয়ে জোর দিতে চাইছে, যার দর্শন গাঁধীর হলেও তাকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন নেহরুই। সেন্ট্রাল হলের ঐতিহাসিক বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, “আমাদের প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ মানুষটির আকাঙ্ক্ষা ছিল, দেশের প্রত্যেকটি মানুষের চোখ থেকে প্রতিটি অশ্রুবিন্দু মুছিয়ে দেওয়ার। যত দিন এই কান্না এবং দুর্দশা থাকবে, তত দিন আমাদের কাজ শেষ হবে না।’’
সূত্রের খবর, স্পিকার ওম বিড়লা এক সপ্তাহ আগে সংসদীয় কমিটিগুলিকে প্রস্তাব দিয়েছেন, এমন ভাবে কাজ করতে হবে, যাতে একদম পিছনের সারির শেষ মানুষটিও উপকৃত হন। বিভিন্ন প্রস্তাবের কেন্দ্রে যেন সেই মানুষটি থাকেন।
বিভিন্ন মন্ত্রকের ১৬টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রয়েছে সংসদে। ১৯৯৩ সালে তৈরি হয়েছিল এগুলি। যে নতুন বিষয়গুলিকে কমিটির প্রস্তাব এবং বিবেচনার আওতায় আনার কথা স্পিকার ভেবেছেন, তার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেই সব গ্রামকে চিহ্নিত করা যেখানে এখনও কোনও সরকারি কর্তৃপক্ষ সফর করেননি। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎ নষ্টের হিসেব কষা, রেললাইন সংলগ্ন জমিতে গাছ লাগানো, উদ্যান তৈরি করার বিষয়েও সরকারকে প্রস্তাব দেওয়ার নির্দেশ তিনি দিয়েছেন কমিটিগুলিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy