শীঘ্রই ভারতে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে আসছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্ক। সোমবার সংস্থার ওয়েবসাইটে ওই পরিষেবার খরচ জানানো হয়েছিল। দাম নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছিল নানা মহলে। কিন্তু মঙ্গলবার সব জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে স্টারলিঙ্ক জানাল, ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দাম পরিষেবার ‘আসল খরচ’ নয়। সংস্থার ভারতীয় ওয়েবসাইটে প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরেই কোনও ভাবে এই বিপত্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার স্টারলিঙ্কের বিজনেস অপারেশন্স-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, স্টারলিঙ্কের ভারতীয় ওয়েবসাইটটি এখনও চালু হয়নি। সোমবার ওয়েবসাইটে যে দাম দেখানো হয়েছে, সেগুলি আসলে খসড়া, যা প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরে কোনও ভাবে প্রকাশ হয়ে যায়। সেই ত্রুটি এখন শুধরে নেওয়া হয়েছে। লরেন সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘স্টারলিঙ্ক এখনও ভারতে আসেনি। তাই এখন গ্রাহকদের অর্ডার নিচ্ছে না সংস্থা। স্টারলিঙ্ক ইন্ডিয়া-র ওয়েবসাইটটিও এখনও চালু হয়নি। ফলে ভারতে স্টারলিঙ্ক পরিষেবার খরচ কত হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’’
আরও পড়ুন:
সোমবার কিছু ক্ষণের জন্য স্টারলিঙ্কের ওয়েবসাইটটি ‘লাইভ’ হয়ে যায়। সেখানে লেখা ছিল, ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য পরিষেবা নিতে গেলে মাসে ৮৬০০ টাকা খরচ পড়বে। তার আগে যন্ত্রাংশ কিট কিনতে লাগবে ৩৪,০০০ টাকা। কিটে থাকবে স্টারলিঙ্ক কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি ডিশ, বাড়িতে ওয়াই-ফাই সম্প্রচারের জন্য একটি রাউটার, কেব্ল এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, দেশে কত জন এই খরচ টানতে পারবেন? মুখে ভারতের গ্রামীণ, দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা দেওয়ার কথা বললেও মাস্কের স্টারলিঙ্ক যে আদতে আমজনতার আয়ত্তের বাইরে, এমন সমালোচনাও শুরু হয়ে যায়। সেই আবহে এ বার সব জল্পনা উড়িয়ে দিল মাস্কের সংস্থা।
ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে ১০০টিরও বেশি দেশে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা চালু রয়েছে। স্যাট-কম পরিষেবার প্রাথমিক খরচ এমনিতেই টেলিকমের তুলনায় অনেক বেশি। তা ছাড়া, এক এক জায়গায় পরিষেবা বাবদ খরচ এক এক রকম। ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ ভুটান এবং বাংলাদেশে স্টারলিঙ্ক রয়েছে। দুই দেশেই স্টারলিঙ্কের বাড়িতে ব্যবহৃত ইন্টারনেট পরিষেবার খরচ মাসে ৩,০০০ থেকে ৪,২০০ টাকা। ফলে ভারতে মাস্কের সংস্থার ইন্টারনেটের সুবিধা পেতে হলে ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা মাসিক খরচ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।