মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি তুলেছেন, এ বছর রাজ্যগুলিকে বিনা শর্তে বাড়তি ধার করতে দেওয়া হোক। কোভিড মোকাবিলার জন্য মমতা এই দাবি তুললেও কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রক বলছে, যথেচ্ছ ধার করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের মাথায় যাতে ফের ঋণের বোঝা চেপে না বসে, সেই কারণেই শর্ত রাখা হয়েছে।
গত কাল কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির পরে অর্থ মন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তার মন্তব্য, “কেন্দ্রের শর্ত মানলে রাজ্যেরই নিজস্ব আয় বাড়বে। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমবে। সে ক্ষেত্রে বাড়তি ধার করলেও তা মেটাতে অসুবিধা হবে না। পশ্চিমবঙ্গ-কেরলের মতো রাজ্যের মাথায় যথেষ্ট ঋণ ও সুদের বোঝা রয়েছে। এখন কোভিড মোকাবিলায় ফের ধার করতে গিয়ে নতুন করে ঋণের বোঝা চেপে বসবে না।”
কোভিডের মোকাবিলা ও লকডাউনের ধাক্কা কাটাতে গত মে মাসে মোদী সরকার রাজ্যগুলিকে আরও ধার করার ছাড়পত্র দিয়েছিল। কিন্তু চার দফা শর্তও চাপিয়েছিল। রাজ্যগুলিকে বাড়তি ধার করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হয়। কেন্দ্র এত দিন রাজ্যগুলিকে নিজের জিডিপি-র ৩% পর্যন্ত ধার করার অনুমতি দিয়ে রেখেছিল। মুখ্যমন্ত্রীদের আর্জি মেনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন, শুধুমাত্র চলতি অর্থ বছরে রাজ্যগুলি নিজের জিডিপি-র ৩%-র বদলে ৫% ঋণ নিতে পারবে। কিন্তু এই বাড়তি ২%-র মধ্যে ০.৫% ঋণ নেওয়ায় কোনও শর্ত থাকছে না। এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা, ব্যবসার সহজ পরিবেশ তৈরি, পুরসভাগুলির আয় বাড়ানো এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সংস্কার, এই চারটি কাজ করলে প্রতি ধাপে ০.২৫% করে মোট ১% বাড়তি ঋণের অনুমতি মিলবে। বাকি ০.৫% শতাংশ ঋণ নিতে হলে চারটির মধ্যে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে।