দিন কয়েক আগে বাড়ির তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল বছর ছয়েকের এক শিশুর। প্রাথমিক ভাবে, দুর্ঘটনার মামলা দায়ের হয়। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এটা দুর্ঘটনা নয়, খুন! ওই শিশুকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে তার সৎমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের বিদারে।
গত ২৮ অগস্ট ওই শিশুর বাবা দুর্ঘটনার মামলা দায়ের করেন থানায়। তিনি পুলিশকে জানান, খেলার সময় তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে যায় তার মেয়ে। তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশের হাতে আসে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। প্রতিবেশীর দেওয়া ফুটেজে দেখা যায়, ওই শিশুর সৎমা রাধা তাকে খেলানোর জন্য বারান্দায় নিয়ে আসেন। তার পরে একটা চেয়ারে দাঁড় করিয়ে শিশুটিকে নীচে ঠেলে ফেলে দেন! তার পরেই ঘরে চলে যান তিনি।
আরও পড়ুন:
এই সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার পরেই তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী রাধা। তবে তাঁদের কোনও সন্তান ছিল না। সেই নিয়ে মনোমালিন্য ছিল ওই দম্পতির মধ্যে। পুলিশের অনুমান, রাগের কারণেই স্বামীর প্রথম পক্ষের সন্তানকে ধাক্কা মেরে খুন করেন রাধা।