—প্রতীকী চিত্র।
হাসপাতালের ময়লা পরিষ্কার করে গিয়ে মৃত সদ্যোজাতের দেহও পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে শোরগোল ঝাড়খণ্ডের গাড়োয়া জেলার একটি হাসপাতাল। মৃত সদ্যোজাতের পরিবারের অভিযোগ, সৎকারের ব্যবস্থা করার জন্য তাঁরা হাসপাতালের বাইরে একটি বাজারে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন সদ্যোজাতের দেহ নেই। খোঁজখবর করতে গিয়ে শোনেন হাসপাতালের ময়লা ফেলার জায়গায় আবর্জনা সমেত শিশুর দেহ ফেলে দিয়েছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। তার পরে পুড়িয়েও দিয়েছেন। এই কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যায় মৃতের পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে যায় তারা।
অন্য দিকে, হাসপাতালের কয়েক জন কর্মী স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাঁরা ভুল করে এই কাজ করে ফেলেছেন। কিন্তু কী ভাবে এমন একটা কাজ করতে পারলেন তাঁরা? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের লোকজন।
মৃতের দিদিমা রাজমতি দেবী জানিয়েছেন, গত শনিবার তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করান। সে দিন বিকেলেই মেয়ে একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁরা মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করছিলেন। বাজারে গিয়েছিলেন কাপড় এবং টুকিটাকি জিনিস কিনতে। কিন্তু ফিরে এসে আর শিশুটির দেহ দেখতে পাননি। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক। কেউ কেউ একে অমানবিক কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এমন একটি কাজের জন্য দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। তাঁরা জানান, ইতিমধ্যে এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। হাসপাতালের তরফেও অন্তর্তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত কর্মীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে হাসপাতালের ইনচার্জ গোবিন্দ শেঠ বলেন, ‘‘এমন কর্মী হাসপাতালে না থাকাই ভাল। যে কাজ তাঁরা করেছেন, তা লজ্জাজনক। ইতিমধ্যে হাসপাতালের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy