Advertisement
E-Paper

উধাও উচ্ছ্বাস, ধর্মঘটের হুমকি কেন্দ্রীয় কর্মীদের

দুপুরে খবরটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল, পুরো রিপোর্ট পড়ে এবং কাগজ-কলমে হিসেব কষার পরে তা উধাও হয়ে গেল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের মধ্যে থেকে। উল্টে সংগঠনগুলির তরফে ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হল!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৬ ০৩:৪০

দুপুরে খবরটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল, পুরো রিপোর্ট পড়ে এবং কাগজ-কলমে হিসেব কষার পরে তা উধাও হয়ে গেল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের মধ্যে থেকে। উল্টে সংগঠনগুলির তরফে ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হল!

কেন্দ্রীয় কর্মচারী সংগঠনগুলির ধর্মঘটের হুমকির মুখে তড়িঘড়ি বেতন কমিশন কার্যকর করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু বেতন বৃদ্ধির হার আশানুরূপ নয় বলে আজ সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি ক্ষোভ জানিয়েছে। বেতন কমিশনের সুপারিশের বিরুদ্ধে আগেই বেশ কিছু সংগঠন ১১ জুলাই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। এ দিন তারা জানিয়েছে, ধর্মঘটের পথেই হাঁটবেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের কনফেডারেশন জানিয়েছে, সরকার সিদ্ধান্ত না বদলালে তাঁরা ধর্মঘট করবেন। অসন্তোষ উস্কে দিতে মাঠে নেমে পড়েছে কংগ্রেস।

মোদী সরকারের সব থেকে বড় দুশ্চিন্তা, সঙ্ঘ-পরিবারের শ্রমিক সংগঠন বিএমএসের অসন্তোষ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকার দেশের কর্মীদের হতাশ করেছে। মূল বেতন ২.৫৭ গুণের বদলে ৩.৪২ গুণ বাড়ানো উচিত ছিল। বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির ৩ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশ হওয়া উচিত।’’ বিএমএস ৮ জুলাই দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিলেও এখনই ধর্মঘটে যাচ্ছে না।

কংগ্রেস জানিয়েছে, রেল, অর্ডিন্যান্স কারখানা, পোস্ট-টেলিগ্রাফের ৩৩ লক্ষ কর্মচারীর ফেডারেশন ১১ জুলাই ধর্মঘটে গেলে তারা সমর্থন করবে। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেন, ‘‘গত ৭০ বছরে এত খারাপ হারে বেতন বৃদ্ধি হয়নি। ইউপিএ সরকার ৪০ শতাংশ বেতন বাড়িয়েছিল। মোদী সরকার মাত্র ১৪.২৭ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।’’

সিটু নেতা তপন সেনের বক্তব্য, ১৮ হাজার টাকার ন্যূনতম মূল বেতন নয়, তা বাড়িয়ে ২৬ হাজার টাকা করতে হবে। পদোন্নতিতে নতুন নিয়ম নিয়েও আপত্তি। তা ছাড়া, সন্তান প্রতিপালনের জন্য যে ২ বছর সবেতন ছুটি দেওয়া হয়, এখন দ্বিতীয় বছরে পুরো বেতনের বদলে ৮০ শতাংশ বেতন দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। তারও প্রতিবাদ করছেন কর্মীরা।

ক্ষোভ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও। প্রতিরক্ষা কর্মী সংগঠন এআইডিইএফ -এর সাধারণ সম্পাদক সি শ্রীকুমারের অভিযোগ, কর্মীদের বক্তব্য শোনার জন্য ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি হয়েছিল। কর্মীদের ন্যাশনাল জয়েন্ট কাউন্সিল ফর অ্যাকশন-এর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছিল। শেষে যদি বেতন কমিশনের সুপারিশই মেনে নেওয়া হয়, তা হলে এত বৈঠক করে কী লাভ হল! তাঁর বক্তব্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৩৩ লক্ষ সরকারি কর্মীর সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ৪ লক্ষ কর্মীও ১১ জুলাইয়ের ধর্মঘটে যোগ দেবেন।

strike employees
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy