Advertisement
০৮ মে ২০২৪

জেলাশাসকের অফিসে কর্মবিরতি

জেলাশাসকের অফিসে সহকর্মীদের রঙ খেলা ঘিরে বিবাদ গড়াল ধর্মঘট পর্যন্ত। আজ অফিসের কোনও শাখায় কাজ হয়নি। জেলা প্রশাসন কর্মচারী সংস্থার আহ্বানে কর্মবিরতি পালিত হয় লক্ষ্মীপুর এবং কাটিগড়া মহকুমাশাসকের অফিসেও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলচর শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৫৬
Share: Save:

জেলাশাসকের অফিসে সহকর্মীদের রঙ খেলা ঘিরে বিবাদ গড়াল ধর্মঘট পর্যন্ত। আজ অফিসের কোনও শাখায় কাজ হয়নি। জেলা প্রশাসন কর্মচারী সংস্থার আহ্বানে কর্মবিরতি পালিত হয় লক্ষ্মীপুর এবং কাটিগড়া মহকুমাশাসকের অফিসেও। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

ঘটনার সূত্রপাত হোলির দিন। অভিযোগ, আপত্তি সত্ত্বেও জেলাশাসকের অফিসের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট নিরঞ্জন ধরকে রঙ দেন তাঁর সহকর্মীরা। এ নিয়ে এক প্রস্ত বিচার হলেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি নিরঞ্জনবাবু। তিনি জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরই জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট চূণীলাল দাসলস্কর ও এলডিএ জয়দীপ নাথকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়। সে সঙ্গে জয়দীপ লক্ষ্মীপুর ও চূণীলাল কাটিগড়ায় বদলি হন।

বদলি নিয়ে অবশ্য জেলাপ্রশাসন কর্মচারী সংস্থার কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু কারণ দর্শানোর নোটিসের বিরোধিতা করেন তাঁরা। জেলা প্রশাসন কর্মচারী সংস্থার রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিক্রমজিৎ চক্রবর্তী ও জেলা কমিটির উপ-সভাপতি মিলনউদ্দিন লস্কর জানান, নিরঞ্জনবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ মার্চ বিবাদের নিস্পত্তি হয়। ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট
কমিশনার (ডিডিসি) মধুমিতা চৌধুরী, জেলা পরিষদের কার্যবাহী অফিসার নরেশচন্দ্র ঘোষ ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রেরণা শর্মার উপস্থিতিতে অভিযুক্তরা নিরঞ্জনবাবুর কাছে ক্ষমা চান। এর পরও কেন কারণ দর্শানোর নোটিস জারি হল, তা জানতে চান তাঁরা। নোটিস প্রত্যাহারের দাবিতেই এ দিন অসহযোগ আন্দোলন করে জেলা প্রশাসন কর্মচারী সংস্থা।

জেলাশাসকের অফিসের কোনও কর্মচারী কাজ না করলেও উপস্থিত ছিলেন নিরঞ্জনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘হোলির দিনও ভোট প্রস্তুতির ব্যস্ততা ছিল। দুপুরে অফিস থেকে ডাকবাংলো যাচ্ছিলাম। পথে কয়েক জন
সহকর্মী রঙ দিয়ে দেন।’’ তিনি আরও জানান, ফেরার পথে অফিসের গেটে দেখা হয় চূণীলাল দাসলস্করের সঙ্গে। জেলাশাসকের অফিস চত্বরে
ঢুকেও রেহাই মেলেনি। জয়দীপ নাথ জোর করে রঙ দিয়ে দেন।

নিরঞ্জনবাবুর বক্তব্য, তিনি জেলাশাসকের কাছে নালিশ করেছিলেন। জেলাশাসকই তার বিচার করেছেন। চূণীলাল দাসলস্কর ক্ষমা চেয়েছিলেন। জয়দীপ নাথ
নীরব থাকেন।

এ দিকে, জেলাশাসক বিশ্বনাথন বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। ডিডিসি মধুমিতা চৌধুরী দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে জেলাশাসক টেলিফোনে ডিডিসি চৌধুরীকে জানান, তিনি ফিরে এসে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন।

ওই পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছেন কর্মচারী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিক্রমজিৎ চক্রবর্তী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

District Collector Strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE