উত্তরকাশীর সেই নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
সুড়ঙ্গের ভিতরে উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগে কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। তাঁদের কাছে একটাই প্রশ্ন, কখন উদ্ধার করা হবে। সুড়ঙ্গের বাইরে থাকা উদ্ধারকারীদের সঙ্গে তাঁদের নিরন্তর যোগাযোগ থাকছে ঠিকই, কিন্তু উদ্ধার নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা যেন বেড়েই চলেছে তাঁদের মধ্যে। কাঁপা কাঁপা গলায়, উদ্ধারকারীদের কাছে শ্রমিকদের আর্জি, তাঁদের যেন দ্রুত উদ্ধার করা হয়।
সাত দিন পেরিয়ে অষ্টম দিন চলছে। এখনও উদ্ধার করা যায়নি উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪০ জন শ্রমিককে। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু সময় যত এগোচ্ছে, ততই আশঙ্কা আর উদ্বেগ বাড়ছে শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারগুলির। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা উদ্ধারকারী এক আধিকারিক অরুণকুমার মিশ্র শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্রমিকরা বার বারই জিজ্ঞাসা করেছেন, কখন তাঁদের উদ্ধার করা হবে। খাবার, জল, অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সুড়ঙ্গের ভিতরের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। আর সে কারণেই তাঁদের উদ্বেগ আরও বাড়ছে। উদ্ধারকারী আধিকারিক মিশ্র জানিয়েছেন, খোঁড়াখুঁড়ির কাজ কেমন চলছে, উদ্ধারকারী দল তাঁদের কতটা কাছে পৌঁছতে পেরেছে, কী ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে, ইত্যাদি জানতে চেয়েছিল শ্রমিকরা। তখন তিনি আশ্বস্ত করেন, তাঁদের উদ্ধারের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। দু’ভাবে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রাস্তা বার করার চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) জানিয়েছে, সুড়ঙ্গের উপরের দিকে কোন জায়গায় খুঁড়লে দ্রুত শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো যাবে, সেই জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়েছে। রবিবার বিকেল থেকেই খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy