Advertisement
E-Paper

বোর্ডপরীক্ষা দিয়ে উঠেই প্রসব! পুত্র সন্তানের জন্ম দিল দশম শ্রেণির ছাত্রী, কী ভাবে গর্ভাবস্থা গোপন?

ওড়িশার একটি গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রী পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে। বোর্ডের পরীক্ষা দিয়ে উঠেই হাসপাতালে চলে যায় সে। তাকে সেখানে ভর্তি করানো হয় এবং কিছু ক্ষণেই হয় প্রসব।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৬
newborn picture

দশম শ্রেণির ছাত্রী সন্তান প্রসব করল ওড়িশায়। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বোর্ডের পরীক্ষা দিয়ে উঠেই হাসপাতালে গিয়ে সন্তান প্রসব করল দশম শ্রেণির ছাত্রী। সুকৌশলে নিজের গর্ভাবস্থা দিনের পর দিন গোপন করেছিল সে। স্কুলের কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা বা হস্টেলের কেউ গর্ভাবস্থার কথা জানতেও পারেননি। স্থানীয় পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্কুল এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যেরা।

ঘটনাটি ওড়িশার মালকানগিরি জেলার চিত্রকোন্ডা গ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী স্কুলের পাশে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। এলাকার ১৫ বছরের কিশোরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সে-ই তার সন্তানের বাবা। কিশোরীর সহপাঠীরা জানিয়েছে, দিনের পর দিন গর্ভাবস্থাতেই স্কুলে গিয়েছে সে। বোর্ডের পরীক্ষাতেও বসেছে। কেউ তাকে কিছু বলেননি।

কিশোরীর পরিবার এ বিষয়ে আঙুল তুলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাঁদের অবহেলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আবার হস্টেলকে এই অবহেলার জন্য দায়ী করেছেন। কিশোরীর পরিবার এখনও হাসপাতালে। চিত্রকোন্ডা থানার পুলিশ জানিয়েছে, কী ভাবে কিশোরী গর্ভাবস্থা গোপন করল, কেন তাকে কেউ কিছু বললেন না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খোঁজ চলছে কিশোরীর অভিযুক্ত প্রেমিকেরও। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক। তদন্তের পর উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে, জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কিশোরীর পরিবারের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের সকলে আপাতত হাসপাতালে। সেখান থেকে বেরিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। পুলিশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘আমরা অভিযুক্তকে খুঁজছি। স্কুল বা জেলা প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় সরকারি কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কিশোরী এবং সদ্যোজাত সন্তানের চিকিৎসা চলছে।’’

Odisha childbirth problem
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy