উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন। সেখানেই মৃত্যু হল অন্ধ্রপ্রদেশের তরুণী রাজ্যলক্ষ্মী ইয়ারলাগাড্ডা ওরফে রাজির। মেয়ের উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করতে ধার নিয়েছিল রাজির পরিবার। এখন পরিস্থিতি এমন যে, সেই ধার শোধ করতে এবং মেয়ের দেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে অর্থসাহায্য চাইতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। সমাজমাধ্যমে একটি সংস্থার মাধ্যমে অর্থসাহায্যের জন্য আবেদন করছে রাজির পরিবার।
২৩ বছরের রাজি অন্ধ্রের বাপাতলা জেলার বাসিন্দা। সে রাজ্যের বিজয়ওয়াড়ার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পড়াশোনার পাঠ শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় পাড়়ি দেন রাজি। টেক্সাসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার পর সম্প্রতি চাকরির চেষ্টা করছিলেন। ৭ নভেম্বর রাজির ঘর থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, মৃত্যুর তিন দিন আগে ফোনে সর্দি-কাশি হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অন্ধ্রের ওই তরুণীর পরিবার আর্থিক ভাবে তেমন স্বচ্ছল নয়। একটি ছোট জমি রয়েছে তাদের। সেখানে ফসল ফলিয়েই সংসার চলে তাদের। পরিবারের এক সদস্যের কথায়, “বেশি অর্থোপার্জনের লক্ষ্যেই আমেরিকায় গিয়ে পড়াশোনা করে ভাল চাকরি পেতে চেয়েছিল রাজি। আর সে কারণে কিছু টাকাও ধার করেছিল। কিন্তু এখন সেই অর্থ পরিশোধ কী ভাবে করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় তাঁর পরিবার।
পরিস্থিতি এমনই যে, ওই তরুণীর দেহ বিমানে করে দেশে ফিরিয়ে এনে সৎকার করার মতো অর্থও নেই পরিবারের সদস্যদের কাছে। এই পরিস্থিতিতে অন্যদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। অন্য দিকে, রাজির কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। একটি পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর আমেরিকায় বিভিন্ন কারণে ১১ জন ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল।