উত্তরপ্রদেশের সব স্কুল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বার বাধ্যতামূলক ভাবে বন্দে মাতরম গাইতে হবে। সোমবার এমনই ঘোষণা করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গোরক্ষপুরে ‘একতা যাত্রা’ শীর্ষক সরকারি কর্মসূচিতে অনেকে মিলে এক সঙ্গে বন্দে মাতরম গান পরিবেশন করেন। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, “দেশের জাতীয় গান বন্দে মাতরমের প্রতি একটা সম্মান থাকা উচিত। আমরা উত্তরপ্রদেশের সব স্কুল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটা গাওয়া বাধ্যতামূলক করব।”
শুক্রবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, বন্দে মাতরমের সার্ধ শতবর্ষকে স্মরণ করে সারা বছর নানা অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হবে। বন্দে মাতরমের স্মারক ডাকটিকিট এবং মুদ্রাও প্রকাশ করেন তিনি। দলীয় ভাবেও বিজেপি দেশের নানা প্রান্তে বন্দে মাতরম গানের সার্ধশতবর্ষ পূর্তিতে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে।
আরও পড়ুন:
শুক্রবার বন্দে মাতরমের গুরুত্বপূর্ণ স্তবক বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার প্রায় একই সুরে কংগ্রেসের সমালোচনা করে আদিত্যনাথ বলেন, “১৮৯৬ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রতিটি অধিবেশনে বন্দে মাতরম গাওয়া হত। কিন্তু ১৯২৩ সালে যখন জওহর (জওহরলাল নেহরু) কংগ্রেস সভাপতি হন, তখন তিনি এই গান শুনে বেরিয়ে যান।” মোদীর সুরেই আদিত্যনাথের দাবি, বন্দে মাতরমের বিরোধিতা করার কারণেই দেশভাগ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্য সঙ্গীত গাওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুলগুলির প্রভাতী প্রার্থনা সঙ্গীতের বিষয়ে নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে প্রভাতী প্রার্থনায় গাইতে হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি। বস্তুত, এই গানটিই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সঙ্গীত। তবে পাহাড়ের স্কুলগুলিতে এই গান গাওয়া বাধ্যতামূলক নয়।