প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ঘিরে ছাত্র বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই
কয়েক দিন আগে দিল্লি-ভোপাল বিমানে আসন নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। এ বার নিজের কেন্দ্র ভোপালেই প্রবল ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল ওই বিজেপি সাংসদকে। শুনতে হল ‘আতঙ্কবাদী ওয়াপস যাও’ (সন্ত্রাসবাদী ফিরে যাও)। ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রজ্ঞা পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন।
প্রজ্ঞাকে ঘিরে পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে বুধবার, ভোপালের মাখনলাল চতুর্বেদী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাসে উপস্থিতির হার কম থাকায় সাংবাদিকতা বিভাগের দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসেছেন শ্রেয়া পাণ্ডে ও মনু শর্মা নামে ওই দুই ছাত্রী। ওই দিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। কিন্তু, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পা রাখতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মুহূর্তেই কয়েকশো ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে যান। প্রজ্ঞাকে ঘিরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
पत्रकारिता विश्व विद्यालय के बाहर @SadhviPragya_MP वापस जाओ के नारे लगे @ndtv @ndtvindia #PragyaSinghThakur #BharatRatna #MadanMohanMalviya pic.twitter.com/7Fs13oaBQJ
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) December 25, 2019
প্রজ্ঞাকে দেখে পড়ুয়ারা ‘আতঙ্কবাদী ওয়াপস যাও’ (সন্ত্রাসবাদী ফিরে যাও) বলে স্লোগানও দিতে থাকেন। প্রজ্ঞার সঙ্গে থাকা বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিরও উপক্রম হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ। যে সব পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় বিজেপির শরিক দুষ্যন্তের দলে বিদ্রোহ, ইস্তফা সহ-সভাপতির
আরও পড়ুন: থানার কোয়ার্টারেই আত্মঘাতী ফ্রেজারগঞ্জের ওসি, কারণ নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে
কয়েক দিন আগেই দিল্লি থেকে ভোপাল আসার পথে স্পাইস জেটের বিমানে আসন নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রজ্ঞা। যাত্রীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তার জেরে বিমান ছাড়তেও খানিকটা দেরি হয়। বচসার সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্যের কারণে বর্তমানে জামিনে মুক্ত তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট (ইউএপিএ), অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা চলছে। ওই বিস্ফোরণে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy