বাড়িতে বিয়ে আছে। তাই কেনাকাটা করতে জম্মুতে এসেছিলেন সুবেদার মদনলাল চৌধুরির পরিবারের সদস্যেরা। সেখানেই হানা দিল মৃত্যু। খালি হাতেই সেই
মৃত্যুর মোকাবিলা করে প্রাণ দিলেন মদনলাল। কিন্তু রক্ষা করলেন পরিবারের সদস্যদের।
সুঞ্জওয়ানের সেনা শিবিরে সুবেদার মদনলালের সঙ্গেই ছিলেন তাঁর মেয়ে নেহা ও স্ত্রী করমজিৎ-সহ পরিবারের বেশ কয়েক জন সদস্য। গত কাল ভোরে জঙ্গিরা ঢুকে পড়ে শিবিরে। গুলিবৃষ্টি করে মদনলালের কোয়ার্টারে ঢোকার চেষ্টা করে তারা। বছর পঞ্চাশের মদনলাল বুঝে যান, ভিতরে ঢুকলে তাঁর পরিবারের কেউ বাঁচবেন না। খালি হাতেই জঙ্গিদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। সেই সুযোগে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান পরিবারের সদস্যেরা। তাঁর মেয়ে নেহার পায়ে গুলি লেগেছে। সামান্য আহত হয়েছেন ভাইয়ের স্ত্রী পরমজিৎ। কিন্তু মদনলালের জন্যই প্রাণে বেঁচেছেন তাঁরা।
জম্মুর ছোট্ট গ্রাম বকরায় বাড়ি মদনলালের। তাঁর মৃত্যুর খবরে সেখানে এখন কেবল বিষণ্ণতার ছায়া। খবর পাওয়ার পরেও কিছু ক্ষণ তা বাবা ইন্দ্র চন্দ্র ও মা বান্তি দেবীকে জানাননি মদনলালের ভাই সুরেন্দ্র। মদনলালের স্ত্রী করমজিৎ ও দাদা সামশের বাড়ি ফেরার পরে বাবা-মা-কে সব কথা জানান সুরেন্দ্র। তাঁর কথায়, ‘‘ভাইয়ের জন্য আমি গর্বিত।’’
বাহিনীতে কাজ করার ঐতিহ্য রয়েছে মদনলালের পরিবারে। দাদা সামশেরও প্রাক্তন সেনাকর্মী। মদনলালের ছেলে অঙ্কুশ ভারতীয় সেনার অফিসার। ভাইপো সন্দীপ রয়েছেন বায়ুসেনায়। তাঁর বিয়ের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সকলে।
পরিবারের সদস্যদের আক্ষেপ, সেই উৎসবের মধ্যেই মৃত্যু এসে ছিনিয়ে নিল মদনলালকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy