সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ। ফাইল চিত্র।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন না। তবে ইন্ডিয়া গেটে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি প্রতিষ্ঠাকে জার্মানি থেকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁর কন্যা অনিতা বসু পাফ। সাক্ষাৎকারে অনিতা বলেছেন, ‘‘সম্রাট পঞ্চম জর্জের মূর্তির জায়গায় বসছে নেতাজির মূর্তি। এক সময় ঔপনিবেশিক ক্ষমতার অধিষ্ঠান ছিল যে জায়গায়, সেখানে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের এক জনকে স্থাপন করার প্রতীকী মূল্য অপরিসীম।’’
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও তৃতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে মৃত ব্রিটিশ ভারতীয় সৈনিকদের স্মৃতিতে ১৯৩১ সালে তৈরি হয়েছিল ‘অল ইন্ডিয়া ওয়ার মেমোরিয়াল’— এখনকার ইন্ডিয়া গেট। একটি ছাউনির নীচে ছিল পঞ্চম জর্জের মূর্তি। ১৯৬৮ সালে সেটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির করোনেশন পার্কে। সেই থেকে জায়গাটি ফাঁকা ছিল। সেখানেই বসেছে সুভাষচন্দ্রের মূর্তি।
বৃহস্পতিবার সুভাষ-মূর্তির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন সুভাষ-কন্যা অনিতা। কিন্তু তিনি জানান, নানা অব্যবস্থাপনা ও বিভ্রান্তির জেরে যোগ দিতে পারবেন না। তখন বলেছিলেন, ‘‘আমি যতটুকু জানি, প্রধানমন্ত্রী খুব অল্প ক্ষণের জন্য উপস্থিত হবেন আর অনেকটা দূর থেকে তাঁকে শুধু দেখতে পাব। ...আমার বসে থাকা বা না-থাকাটা কেউ ধর্তব্যেও আনবেন না।’’ অনিতা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘এতগুলো দশক পরেও ভারতবাসী যে তাঁর (সুভাষচন্দ্র) নাম আর স্মৃতি আগলে রেখেছেন, তাতে আমি অভিভূত। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা সরকারি ভাবে তেমন স্বীকৃতি না পেলেও মানুষ তাঁকে মনে রেখেছেন। ভারত গঠনে তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।’’ অনিতার বক্তব্য, ‘‘স্বাধীন ভারতকে অনুভব করতে পারাটা ছিল আমার বাবার লক্ষ্য। দুর্ভাগ্যবশত আকস্মিক মৃত্যু তা পূরণ হতে দেয়নি। আমি মনে করি, বাবার শেষ চিহ্নটুকু অন্তত যেন ভারতের মাটি স্পর্শ করতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy