ফাইল চিত্র।
রাজ্যগুলির প্রাপ্য জিএসটি-ক্ষতিপূরণ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা ঠিকমতো না-দেওয়ার অভিযোগে সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি) থেকে ‘ওয়াক আউট’ করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
সূত্রের খবর, কমিটির বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে সুখেন্দু অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজকে বলেন, কেন্দ্র ধারাবাহিক ভাবে বাংলাকে জিএসটি-ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত করেছে। এখন এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখে দায়সারা উত্তর দিচ্ছে।
জিএসটি-ক্ষতিপূরণ মেটাতে সেস বাবদ আয়ের তহবিলের অর্থ মোদী সরকার অন্যত্র খরচ করেছে বলে সরকারের হিসেব পরীক্ষক সংস্থা সিএজি আঙুল তুলেছিল। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এ কাজ করে মোদী সরকার আইন ভেঙেছে। তা নিয়ে এ বার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পিএসি-তে আলোচনা চলছে।
জিএসটি চালুর পরে দু’বছর রাজ্যগুলির প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের থেকে সেস বাবদ আয় বেশি হয়েছিল। ওই আয়ের তহবিল থেকে মোদী সরকার ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ সালে ৪৭,২৭২ কোটি টাকা সরিয়ে অন্যত্র খরচ করেছে বলে সিএজি আঙুল তুলেছিল। তবে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা পুরোটাই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে পিএসি-র প্রশ্নের জবাবে অর্থ মন্ত্রক উত্তর দিয়েছে।
সূত্রের খবর, আজ সুখেন্দু প্রশ্ন তোলেন, ক্ষতিপূরণ মেটানো হলে, তা কবে হয়েছে? রাজস্ব সচিব জানান, তা ফাইল ঘেঁটে দেখতে হবে। এর পরে সুখেন্দু প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্র কি ক্ষতিপূরণ তহবিলের অর্থ অন্যত্র সরিয়ে আইন ভেঙেছে? সূত্রের খবর, সচিব তারও সরাসরি উত্তর দেননি।
অর্থ মন্ত্রক পিএসি-কে জানিয়েছিল, এখন সেস বাবদ যা আয় হচ্ছে, তা থেকে নিয়মিত ভাবে ক্ষতিপূরণ রাজ্যগুলিকে মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গ-সহ রাজ্যগুলির বকেয়া ক্ষতিপূরণ কত? সূত্রের খবর, তারও উত্তর না-মেলায় সুখেন্দু বৈঠকে থাকতে রাজি নন বলে জানান। অভিযোগ, পিএসি সংসদের হয়ে কাজ করছে। অথচ কেন্দ্র সংসদ বা সংসদীয় কমিটিকে সম্মান করে না। তাই আমলারা প্রশ্নের উত্তর এড়াচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy