ফাইল চিত্র।
আধার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুক-টুইটারের মতো নেট দুনিয়ায় নজরদারির অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বেঞ্চ দু’সপ্তাহের মধ্যে তাঁর আশঙ্কার প্রমাণ আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল।
আধার কর্তৃপক্ষ গত জুলাই মাসে একটি ‘সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং এজেন্সি’ তৈরির জন্য প্রস্তাব চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ ছিল, নেট দুনিয়ায় আমজনতার গতিবিধি, মতামত প্রকাশ, কাজকর্মের উপর নজরদারির জন্যই এই এজেন্সি তৈরি করা হচ্ছে। আজ প্রধান বিচারপতি মহুয়ার আইনজীবীদের অনুরোধ করেন, রাষ্ট্র নাগরিকদের অনলাইনে কাজকর্মের উপর নজরদারি যে করবে, গোটা উদ্যোগ যে রাষ্ট্রের নজরদারির জন্যই করা হচ্ছে, তা দেখিয়ে দিন। শুনানির পরে মহুয়া জানান, তিনি হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত ভাবে সব জানাবেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকও একই ধরনের ‘সোশ্যাল মিডিয়া হাব’ তৈরির কাজ শুরু করেছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল, ফেসবুক-টুইটারে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কারা, কী সমালোচনা করছেন, বিরোধীদের প্রচারেই বা কতখানি সাড়া মিলছে, তার আঁচ পাওয়া। মহুয়া তার বিরুদ্ধেও মামলা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। যার পরে পিছু হঠে কেন্দ্র।
তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের ‘সোশ্যাল মিডিয়া হাব’ তৈরির প্রস্তাব শুনে বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় শুনানির সময়েই মন্তব্য করেছিলেন, ‘যদি সব ট্যুইট, হোয়াটসঅ্যাপ দেখা হয়, তা হলে আমরা নজরদার রাষ্ট্র তৈরির দিকেই এগোচ্ছি!’ ওই মামলার রায়ের আগেই ‘সোশ্যাল মিডিয়া হাব’ তৈরির বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে কেন্দ্র।
মহুয়ার অভিযোগ, হুবহু একই ধাঁচে আধার কর্তৃপক্ষও নেট দুনিয়ায় নজরদারির উদ্যোগ নিয়েছে। বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করে নেট দুনিয়ার আলোচনায় নজর রাখা ও সেই আলোচনাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিযোগের মুখে কেন্দ্র জানিয়েছিল, তাঁরা মহুয়ার যে কোনও পরামর্শ গ্রহণ করতে রাজি। কিন্তু মহুয়ার আইনজীবীর অভিযোগ, কেন্দ্র কোনও পরামর্শই শোনেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy