শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের আত্মহত্যা রুখতে এবং তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নজর দেওয়ার জন্য একটি গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই গাইডলাইন কার্যকর হয়েছে কি না, তা এ বার খতিয়ে দেখতে চায় শীর্ষ আদালত। কোথায় কেমন পদক্ষেপ করা হয়েছে, সে বিষয়ে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের থেকে তা তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আট সপ্তাহের মধ্যে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তা জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে। গাইডলাইন কার্যকর করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা আট সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে জানাতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকেও।
পশ্চিমবঙ্গের এক ছাত্রীর অন্ধ্রপ্রদেশে ‘রহস্যমৃত্যু’র ঘটনায় গত জুলাই মাসে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। বিশাখাপত্তনমের এক কোচিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তিনি। দু’বছর আগে, ২০২৩ সালে হস্টেলের চারতলার ছাদ থেকে পড়ে যান এবং পরে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। ওই ঘটনায় পুলিশের একপেশে তদন্ত করেছে বলে দাবি করে মৃতের পরিবার। তা নিয়ে মামলাও হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্ট হয়ে ওই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন:
গত জুলাই মাসে ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পড়ুয়াদের আত্মহত্যা ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির জন্য ১৫ দফা গাইডলাইনও বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ। গত জুলাই মাসের নির্দেশনামায় আদালত জানিয়েছিল, ওই গাইডলাইন যত দূর সম্ভব কার্যকর করে দু’মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। গাইডলাইন সংক্রান্ত ওই নির্দেশ কতটা কার্যকর হয়েছে, তা এ বার খতিয়ে দেখতে চায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ। এ অবস্থায় আট সপ্তাহের মধ্যে সব পক্ষের থেকে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী বছরের জানুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।