হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে খাদ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের জন্য কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে।
জনজাতি সংগঠনগুলির লাগাতার পথ অবরোধের জেরে মেইতেই অধ্যুষিত ইম্ফল উপত্যকায় খাদ্য, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ‘‘আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে কেন্দ্রীয় এবং মণিপুর রাজ্য সরকারকে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলিতে খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মৌলিক সরবরাহগুলি বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।’’ পাশাপাশি, মণিপুরের জনসংখ্যার কোনও অংশ অবরোধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারের আইনজীবী হিসাবে শুনানিতে অংশ নেওয়া পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, কট্টরপন্থী জনজাতি সংগঠন ‘কুকি-জ়ো ড়িফেন্স’ ফোর্স গত ২৬ অগস্ট থেকে অনির্দিষ্ট কালের পথ অবরোধ শুরু করেছে। এর ফলে জনজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলি পেরিয়ে ভিনরাজ্য থেকে রাজধানী ইম্ফলে পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে বাধার মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, গত মাসে কুকি-জ়ো জনজাতি গোষ্ঠীর মহিলারা দিল্লিতে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার গোষ্ঠীহিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে ত্রাণসামগ্রী পাঠাচ্ছে, তা জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ঠিক ভাবে বণ্টন করছে না মেইতেই প্রভাবিত মণিপুর সরকার।
আরও পড়ুন:
এই পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ ভাবে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ তদারকির জন্য জনজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলির জন্য পৃথক প্রশাসন প্রয়োজন বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জনজাতি অধ্যুষিত পাহাড়ের জেলাগুলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণে সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলির তরফে অনির্দিষ্টকালের জন্য পথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল।